৫ দিনের রিমান্ডে মির্জা আব্বাস - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

৫ দিনের রিমান্ডে মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় আজ বুধবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপপরিদর্শক নূর ইসলাম। অপরদিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন।উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিন মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতে শাহজাহানপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম।

আজ দুপুর ১টায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) মির্জা আব্বাসকে আনা হয়। পরে বিকেল ৩টায় তাকে সিএমএম কোর্টের ২৮ নম্বর কোর্টে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিনের এজলাসে নেওয়া হয়। বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গতকাল মঙ্গলবার মির্জা আব্বাসকে রাজধানীর শহীদবাগের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সেই পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।

গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলা ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ওরফে আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন প্রকার নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তারা। এসময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

Comment here