সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে এখন থেকে নারী প্রার্থীদেরও ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (সম্মান) লাগবে। তাদের কোনো স্বীকৃতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
আজ মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক বিধিমালা-২০১৯‘ এর গেজেটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এত দিন নারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল এইচএসসি বা সমমানের ডিগ্রি। তবে পুরুষ প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা আগের মতোই দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি রাখা হয়েছে।
প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়, বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক পদে পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক করা হয়েছে। এ বিধিতে বলা হয়েছে, কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা অনার্স অথবা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। বয়সসীমা ২১ থেকে ৩০ বছর। তবে নারী প্রার্থীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা বহাল থাকবে। ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা ও বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বিষয়ে পাস প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। যদি ২০ শতাংশ কোটা পূরণ না হয়, তবে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।
বিধিমালা অনুযায়ী আগের মতোই প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির মাধ্যমে ৬৫ শতাংশ এবং ৩৫ শতাংশ সরাসরি নিয়োগ হবে। পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক পদে প্রশিক্ষণসহ কমপক্ষে সাত বছর চাকরি করতে হবে।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৯৯টি। শিক্ষক আছেন প্রায় সাড়ে তিন লাখ।
Comment here