‘স্বপ্নে পাওয়া’ আম দেখতে জনতার ঢল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

‘স্বপ্নে পাওয়া’ আম দেখতে জনতার ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর মোহনপুরে ‘স্বপ্নে পাওয়া’ হলুদ রঙের একটি আম দেখতে আব্দুর রাজ্জাক নামের এক যুবকের বাড়িতে জনতার ঢল নেমেছে। তিনি আমটি ৯৫০ টাকায় ওয়াজ মাহফিল থেকে কিনে আনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তার বাড়িতে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। উচ্চমূল্যে নিলাম ও অসময়ের আম—এই দুই মিলে এলাকায় রটে যাচ্ছে নানান রটনা।

আব্দুর রাজ্জাক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমটি আমাদের বসন্তপুর এলাকার ফাতিমা বেগম (৩৯) নামের এক নারী স্বপ্নের মাধ্যমে পেয়েছেন। তিনি আমটি মসজিদে দান করেন। তবে এসব বিষয়ে কিছুই জানতাম না। লোকমুখে শুনছি এসব ঘটনা। আমার উদ্দেশ্য ছিল আমটি বেশি দামে কিনলে মসজিদের উপকার হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই স্বপ্নে দেখা অসময়ের আমটি নিয়ে বিপাকেও পড়েছি বেশ। এই আম দেখার জন্য আমার বাসায় দূর-দূরান্ত থেকে শতশত মানুষ আসছে। সাংবাদিক ও পরিচিতরা ফোন করে হয়রানি করছেন। এমনকি কয়েকজন সাংবাদিক ও রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাও বৃহস্পতিবার আসতে চেয়েছেন আমার বাসায়। তাই আমটি আমি ফ্রিজে রেখে দিয়েছি।’

স্বপ্নে কীভাবে আমটি পেয়েছেন জানতে চাইলে ফাহিমা বেগম জানান, ‘পরপর তিনদিন আমাকে স্বপ্নে দেখানো হয় যে, আমার বাড়ির সামনের গোরস্থানে আমগাছের নিচে আম পড়ে আছে। স্বপ্ন দেখে তৃতীয় দিনের পর সেখানে যাই, একটি পড়ে থাকা আমও দেখতে পাই সেখানে। স্বপ্নের সাথে মিলে যাওয়ায় ভয় হচ্ছিল আমটি নিতে। ভয়ের কারণে আমটি না নিয়ে একবার ফিরে চলে আসি। কিন্তু অদৃশ্য গায়েবি আওয়াজ আসে আমটি নেওয়ার জন্য। গায়েবি আওয়াজের কারণে আমি সেখানে যেতে বাধ্য হই। খুব ভয়ে ভয়ে আমটি নিয়ে আসি এবং মসজিদে দান করে দেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জিএমএম বারি ডলার বলেন, ‘সবেমাত্র গাছে মুকুল ফুটেছে। আর সেই রকম কোনো আম এই অসময়ে বাংলাদেশে হয় না বা সেই রকম ব্যতিক্রম জাতের আমগাছ বাংলাদেশে নেই। ওই অসময়ের আমটি হয়তো বা বাইরের কোনো দেশের হতে পারে।’

বিস্ময়ের স্বরে এই বিজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন ‘এই অসময়ে কোনো আম দেশে পাওয়া যাচ্ছে- এটাই রহস্য ও বিস্ময়কর বিষয়। আবার স্থানীয়রা বলছেন, আমটি অলৌকিকভাবে পাওয়া। তাই ওই আমটির বিষয়ে জানার পর পরিচিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আমটি সরেজমিনে দেখার জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়া প্রয়োজন। কৌতূহল ও গবেষণা দুটোই হবে।’

 

Comment here