নিজস্ব প্রতিবেদক : থার্টিফার্স্ট নাইটে রাজধানীর কাফরুল থানার ইমাননগরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কার্যালয়ে স্বামীকে আটকে হত্যার হুমকি দিয়ে পোশাককর্মীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই স্বেচ্ছাসেবক লীগকর্মী জনি দেওয়ান ও মো. আতিক দেওয়ানকে ৮ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অবশ্য সবার অগোচরে ওই কার্যালয়টি কে বা কারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত সেই কার্যালয়স্থলে গিয়ে সেটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। আলোচিত এ ধর্ষণকা-ের বিষয়ে গত সোমবার ‘স্বামীকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কার্যালয়ে আটকে পোশাককর্মীকে ধর্ষণ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয় দৈনিক মুক্ত আওয়াজ।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় পোশাককর্মীর স্বামী নির্মাণশ্রমিক। ইমাননগরের একটি টিনশেড বাসায় থাকেন তারা। থার্টিফার্স্ট নাইটে ওই দম্পতি বেড়াতে বের হন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক কর্মী জনি ও আতিক পথ আটকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যালয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে তরুণীর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। তরুণী আরও জানান, এ বিষয়ে প্রথমে তারা থানায় মামলা করতে যেতে চাইলেও স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাদের থানায় যেতে দেয়নি। কিন্তু বিচার দূরে থাক, অব্যাহত হুমকির মুখোমুখি হতে হয় তাদের। অগত্যা গত শনিবার রাতে অভিযুক্ত ৩ জনের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ২৭ বছর বয়সী ওই তরুণী। সন্ত্রাসী জনি ও আতিক গ্রেপ্তার না হওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও ওই দম্পতি জানান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই রবিউল আলম গতকাল শুক্রবার আমাদের সময়কে জানান, অভিযুক্ত জনি দেওয়ান ও আতিক দেওয়ানকে গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
ইমাননগরের যে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কার্যালয়ে পোশাককর্মীর স্বামীকে আটকে রাখা হয়, সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনিও জানতে পেরেছেন। তবে কে বা কারা এটি করেছে তা জানেন না তিনি।
Comment here