১০ বছর পর মাঠে জামায়াত, যা বললেন ওবায়দুল কাদের - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

১০ বছর পর মাঠে জামায়াত, যা বললেন ওবায়দুল কাদের

বিএনপি অগ্নি-সন্ত্রাস করতে জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে তাদের আসল মুরুব্বী বিএনপি। এর মানে তারা আবারও অগ্নি-সন্ত্রাস ও ভাঙচুরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর নিকুঞ্জ খেলার মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় পর রাজধানীতে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ শনিবার রাজধানী রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ডিএমপির পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে সমাবেশের অনুমতি পায় দলটি। এর আগে জামায়াতে ইসলামী ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সর্বশেষ সমাবেশ করেছিল। তারপর সরকার তাদের সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি। যদিও তারা অনুমতি ছাড়াই রাজধানীতে বিভিন্ন সময় কর্মসূচি তারা করেছেন।

advertisement…

আরও পড়ুন: ১০ বছর পর সমাবেশের অনুমতি পেল জামায়াত

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা তো তাদের ডাকছি না। সাধিলে আবার খাইব। তত্ত্বাবধায়ক মানলে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করলে কার সঙ্গে বসবে? বাতাসের সঙ্গে সংলাপ করবে সরকার পদত্যাগ করলে? মির্জা ফখরুল ইসলাম অবান্তর কথা বলে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাইলে- বিএনপির মাথা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পার্লামেন্টের বিলুপ্তি- এই তিন ভূত নামাতে হবে।

মার্কিন ভিসানীতিকে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পায় না- জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। অপকর্ম করলে বিএনপিকে এর মূল্য দিতে হবে।’

বিএনপি সমাবেশের নামে পিকনিক পার্টি করে উল্লেখ করে- ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আবার পদযাত্রা করবে। তাদের শরিক হলো ৫২ দল। ভিতরে ভিতরে অনেকেই ভেগে গেছে। এখন কত দলের জগাখিচুড়ি ঐক্য। যে ঐক্যে নেতা নেই, মানুষ নেই- সে আন্দোলন গণ-আন্দোলনে রূপ নিবে না।’

আন্দোলনে নেতা লাগে- জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির দুই নেতাই দণ্ডিত। এদের একজন হাসপাতালে, অন্যজন পালিয়ে লন্ডনে। প্রতিদিন সেখান থেকে অনলাইনে ফরমায়েশ দিচ্ছে। আদালতের রায় না মেনে টেমস নদীর ওপার থেকে ফরমায়েশ পাঠাচ্ছে।’
বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণ-আন্দোলন চাইলে, গণ-আন্দোলনের ঢেউ চাইলে, সৎ সাহস থাকলে আসুন, রাজপথে আসুন, মোকাবিলা হবে- কে হারে, কে জিতে। আমরা মাঠে থাকব, মোকাবিলা করব।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ভবিষ্যৎবাণী করছেন যে- আওয়ামী লীগ নাকি ১০ ভাগ ভোটও পাবে না। ২০০৮ এর নির্বাচনে তারা বলেছিল- আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। সে নির্বাচনে তারাই ৩০টি আসন পেয়েছে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এতই যদি বুকে বল থাকে তবে নির্বাচনে আসেন, খেলা হবে। আসেন খেলার মাঠে। খেলার মাঠে না এসে ফাউল শুরু করেছেন, লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ খেলার মতো খেলতে নামলে আপনাদের পালানোর পথ থাকবে না।’

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি ভোট মানে না, গায়ের জোরে ক্ষমতায় যেতে চায়। এ দেশের নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনেই।

কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, বিদেশিরা এ দেশের জাতীয় নির্বাচনে নাক গলাতে শুরু করেছেন, যা দেশের জনগণ পছন্দ করছেন না।

মির্জা আজম বলেন, বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে চায়। নির্বাচন এলেই তারা ষড়যন্ত্র করে। তাদের সব ষড়যন্ত্রের জবাব রাজপথে দেওয়া হবে।

Comment here