৪ জুলাই প্রথম হজ ফ্লাইট বিমান সংকটে ওমরাহ যাত্রীরা বিড়ম্বনায় - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
আন্তর্জাতিক

৪ জুলাই প্রথম হজ ফ্লাইট বিমান সংকটে ওমরাহ যাত্রীরা বিড়ম্বনায়

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ৪ জুলাই, চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। ফিরতি হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১৭ আগস্ট। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ তথ্য জানান হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন। এ বছর ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। ফলে সৌদি আরবে গিয়ে আর ইমিগ্রেশনের জন্য লাইনে দাঁড়াতে হবে না হজযাত্রীদের। সেই সঙ্গে বিড়ম্বনা এড়াতে হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে টাকা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাব সভাপতি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘হজযাত্রীদের বিড়ম্বনায় পড়ার প্রধান কারণ মধ্যস্বত্বভোগী। হজযাত্রীরা দয়া করে মধ্যস্বত্বভোগী ও দালালদের কাছে কোনো টাকা দেবেন না। শুধু সরকার অনুমোদিত হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হোন। এর পর কেউ কোনো বিড়ম্বনায় পড়লে সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাব সভাপতি বলেন, ‘ফ্লাইটের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পর সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করার জন্য সরকার এবং হজ এজেন্সিগুলো উদ্বুদ্ধ করে আসছে। কিন্তু এয়ারলাইন্সগুলোর কারণে এখনো টিকিট নিশ্চত করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা বাড়ি ভাড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছি। এয়ারলাইন্সগুলোর কারণে ফ্লাইটের টিকিট নিশ্চিত করে তারপর বাড়ি ভাড়া করাটা আর সম্ভব হচ্ছে না।’ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ওমরাহ যাত্রী ও মধ্যপ্রাচ্যগামী অভিবাসীদের ফ্লাইটে তীব্র আসন সংকট ও দ্বিগুণ ভাড়া বৃদ্ধির কথা তুলে ধরা হয়। এ নিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর লক্ষাধিক ওমরাহ যাত্রী সৌদি আরবে যান। এখন সারাবছরই এ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এয়ারলাইন্সগুলোয় ওমরাহ যাত্রীর আসন সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ সুযোগে ফ্লাইটের ভাড়া অসহনীয় মাত্রায় বৃদ্ধি করেছে এয়ারলাইন্সগুলো। যেখানে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা ওমরাহ যাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল ৫০ হাজার টাকা, এখন সেটা বেড়ে ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯০ থেকে ৯৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। আবার এত বেশি ভাড়া দিয়েও ফ্লাইট পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ বছর কমপক্ষে ২০ হাজার ওমরাহ যাত্রী ভিসা সংগ্রহ ও হোটেল বুকিং (ইতোমধ্যেই খরচ হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ কোটি টাকা) করার পরও রমজানে ওমরাহ পলন করতে পারবেন না।

এ ছাড়া বিমান ভাড়ার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে অভিবাসন ব্যয়ও অনেক বেড়েছে। আবার গরিব অভিবাসীরা বর্ধিত ব্যয় বহন করতে না পারায় ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে।’ এ সংকট দূর করতে হাবের পক্ষ থেকে দুটি প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছেÑ সমস্যা সমাধানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের যেসব রুটে যাত্রী সংখ্যা কম ও অলাভজনক অবস্থা, সেসব রুটের ফ্লাইট কমিয়ে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা, ঢাকা-রিয়াদ-ঢাকাসহ মধ্যপ্রাচ্যগামী অন্যান্য রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করা। এ ছাড়া বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার সহজ সুযোগ দেওয়ার জন্য ওপেন স্কাই করা এবং তাদের উৎসাহী করার জন্য হ্যান্ডেলিং, ল্যান্ডিং, পার্কিংসহ অন্যান্য চার্জ কমানো বা মওকুফ করা যেতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান হাব সভাপতি।

Comment here