নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে প্রায় একমাস ধরে আদালত বন্ধ থাকায় আইনজীবীদের দাবি এবং বিচার প্রার্থীদের কথা চিন্তা করে সীমিত পরিসরে আদালত চালু রাখার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন আগের ওই আদেশ স্থগিতের কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে অধস্তন আদালতে সপ্তাহে দু’দিন জামিন শুনানি করার আদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য এবং আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে একটি করে বেঞ্চ চালু রাখার সিদ্ধান্ত আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আগামীকাল রোববার সব বিচারপতির উপস্থিতিতে ফুলকোর্ট সভা ডাকা হয়েছে। এই সভা থেকেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালত সীমিত পরিসরে চালু রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সুপ্রিমকোর্টের দুটি বিভাগে একটি করে বেঞ্চ চালু রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অতীব জরুরি বিষয়সমূহ শুনানির নিমিত্ত ছুটিকালীন সময়ে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে বসবেন। তা ছাড়া ছুটিকালীন সময়ে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান সব অধিক্ষেত্রের জরুরি বিষয়সমূহ শুনানির নিমিত্তে হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। আদালত পরিচালনার কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের নিয়ম-কানুনের বিষয়ে বিচারপতিরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
অধস্ত আদালতের প্রতি জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভুত করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজকে এবং মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজকে ছুটিকালীন সময়ে তার সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহে যেকোনো দু’দিন কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির জন্য সীমিত আকারে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ছুটিকালীন সময়ে তার/তাদের সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহে যেকোনো দু’দিন কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির (কারাগারে থাকা হাজতী আসামির আবেদনসহ) সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
আজ শনিবার পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন কোর্ট চালু রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে।
Comment here