নিজস্ব প্রতিবেদক : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা সরকারের নীতিনির্ধারণীর বিষয়। এই নিয়ে এ পর্যন্ত নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপি দলীয়
সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেনের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫১টি পদ শূন্য রয়েছে। সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের বেকারত্বের হার হ্রাস করতে সরকারি অফিসগুলোয় শূন্য পদে লোক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার ২০৪ জন কর্মকর্তা নিয়োগ কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ চলমান। এ ছাড়া ৩৯তম বিসিএসের মাধ্যমে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনে নবসৃষ্ট সহকারী সার্জনের স্থায়ী ক্যাডার পদে দুই হাজার জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া ৪০তম বিসিএসের মাধ্যমে ১ হাজার ৯০৩ জন জনবল নিয়োগ করা হবে, যার লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ৪১তম বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার ১৬৬ জন জনবল নিয়োগ করা হবে। এ ছাড়া ৪২তম বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মকর্তা আছেন। অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জনসাধারণের মধ্য থেকে বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিরাসহ বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মকর্তার সংখ্যা ১৪৬।
Comment here