ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

ব্লগার অনন্ত হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিজ্ঞানলেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যা মামলার রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় খালাস পেয়েছেন একজন। আজ বুধবার সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবুল খায়ের রশিদ আহমদ, আবুল হোসেন ওরফে আবুল হুসাইন, ফয়সল আহমদ ও হারুন অর রশিদ। তাদের মধ্যে আবুল খায়ের রশিদ আহমদ ছাড়া বাকি তিন আসামি পালাতক রয়েছেন।

মামলায় আরেক আসামি শফিউর রহমান ফারাবিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অপর আসামি মান্নান ইয়াহিয়া অরফে মান্নান রাহী কারাগারে মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আলোচিত এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মুমিনুর রহমান টিটু, বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সমর বিজয় সী শেখর, মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, নিতু কান্ত দাশ ও নাদিম রহমান। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাব্বির আহমদ ও ইমরান আহমদ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারে নুরানি আবাসিক এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত। পেশায় ব্যাংকার অনন্ত বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এ ছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।

হত্যাকাণ্ডের পর অনন্তের বড় ভাই রত্নেশ্বর দাশ বাদী হয়ে সিলেট বিমানবন্দর থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এতে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখির কারণে অনন্তকে ‘উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে বলে অভিযোগ করা হয়।

মামলাটি পুলিশ থেকে অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির পরিদর্শক আরমান আলী তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৯ মে সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। এতে সন্দেহভাজন আটক ১০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলায় ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরে ১৪ মার্চ পলাতক তিন আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমীন বিপ্লব রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেন।

 

Comment here