কাঁঠালের ভেতরে ইয়াবা ভরে পাঁচারের সময় গ্রেপ্তার রেলওয়ে পুলিশের এক টিএসআইসহ তার স্ত্রীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। দশ দিন করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন, রেল পুলিশের টিএসআই বাবুল খন্দকার (৫২) ও তার স্ত্রী শিউলি বেগম (৩৯)। বাবলু খন্দকার নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার মাই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গেন্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শামীম আল মামুন আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, বাবুল খন্দকার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য হয়ে মাদক ব্যবসা করে যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তিনি শৃঙ্খল বাংলাদেশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে, মামলার মূল রহস্য উদঘাটন, মাদক প্রাপ্তির উৎস, আসামিদের দখল থেকে মাদক দ্রব্য উদ্ধার, তাদের সহযোগিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া প্রয়োজন।
আজ আসামিদের পক্ষে আইনজীবী হেলাল উদ্দিন আহমেদ রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের আটক করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৪) সদস্যরা। ওই সময় তাদের সঙ্গে থাকা কাঁঠাল ভেঙে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের দাবি, আটক বাবলু খন্দকার রেলওয়ে পুলিশে চাকরি করেন। চাকরির আড়ালে ট্রেনে করে প্রায়ই ঢাকায় ইয়াবা এবং গাঁজার চালান নিয়ে আসতেন। গতকাল সকালে আসামি বুবুল ব্রাহ্মণবাড়ীয়া এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে গোমতি এয়ারকন পরিবহনের একটি বাসে করে স্ত্রীসহ ঢাকায় আসেন। র্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকায় বাসটিতে তল্লাশি চালিয়ে স্ত্রীসহ বাবলুকে শনাক্ত করে। এরপর তাদের সঙ্গে থাকা কাঁঠাল ভেঙে ভেতর থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় র্যাব-৪-এর পুলিশ পরিদর্শক কবির উদ্দিন গেন্ডায়িা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
Comment here