সারাদেশ

করোনা আক্রান্তদের জন্য কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ইউএনবি : ঢাকার ‘কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল’কে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে। এ ছাড়া দেশের প্রতিটি হাসপাতালে কোয়ারেনটাইন (ভাইরাস সংক্রমণ হওয়া রোধে পৃথক করে রাখার বিশেষ ব্যবস্থা) ওয়ার্ড রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বেসরকারি বার্তা সংস্থা ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হাসপাতালগুলোর টপ ফ্লোরের সেই ওয়ার্ডগুলো করা হয়েছে। রোগী বেশি হয়ে গেলে কমিউনিটি সেন্টারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রতিটি জেলার হাসপাতালে দুটি করে আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) যাতে থাকে, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোনো রোগীর খোঁজ পেলেই কোয়ারেনটাইনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’

করোনাভাইরাস নিয়ে সরকারের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে বলেও দাবি করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে মেডিকেল টিম রয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে যারাই আসছেন তাদের তদারকির আওতায় আনা হচ্ছে এবং পরীক্ষা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশি যারা বিদেশে চাকরি করেন, তারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশে আসবেন না বা যাবেন না। যাতায়াতটা সীমিত করতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে পৃথিবীতে অনেক অনুষ্ঠান বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্য দেশ যেভাবে চিকিৎসা দিচ্ছে, আমরাও সেভাবে ব্যবস্থা নেব। তবে না ছড়ানোর ব্যাপারে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।’

ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়ানো রোধে সরকারের ব্যবস্থা প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, ‘যেহেতু একটি স্পেশাল হসপিটাল তৈরি রেখেছি। সে হসপিটাল থেকে চিকিৎসা দিলে ভাইরাসটি ছড়াবে না। সেখানে অন্য কোন বিষয়ের রোগী বা মানুষ যেতে পারবে না। ফলে ছড়ানোর আশঙ্কা কম।’

তিনি জানান, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য চীন বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা স্বরুপ ৫০০ কিটস দিয়েছে। দেশেও ২ হাজার কিটস রয়েছে। কিটসের কোনো অভাব হবে না।

মন্ত্রী আরও জানান, প্রয়োজনের জন্য আরও কিছু কিটস পাইপলাইনে আছে। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য সরকারের কাছে ৮টি মেশিন রয়েছে সংকট মোকাবিলায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

‘দেশের সকল ডিসি, এসপি, সিভিল সার্জনদের এলার্ট থাকতে বলা হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি’ বলেও যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

Comment here

Facebook Share