নিজস্ব প্রতিবেদক ; বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার গবেষণাগার। তবে এটি বসানো বিলম্ব যেমন হচ্ছে তেমন নেই এই স্পর্শকাতর পরীক্ষাটি করার মতো দক্ষ জনবল। এরই মাঝে হাসপাতালটির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেইন অবসর চেয়ে আবেদন করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে।
ডা. জাহাঙ্গীর হোসেইনের চাকরির মেয়াদ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবের দায়িত্ব পালনে অপারগতা ও নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ থেকে তিনি মেয়াদ শেষ হওয়া আগেই গত মঙ্গলবার এই আবেদন করেছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে জাহাঙ্গীর হোসেইনের মুঠোফোন নম্বরে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। আজ শনিবার তিনি নিজ বিভাগে অবস্থান করলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি।
জাহাঙ্গীর হোসেইনের অবসরে যাওয়ার খবরটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অসিত ভূষণ দাস। তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীর হোসেইনের অবসরের আবেদন করার খবরটি সত্য নয়। আর ল্যাবটির অবকাঠামোর কাজ এখনো চলছে। আমরা ভাইরোলজি বিশেষজ্ঞ এবং দক্ষ টেকনিশিয়ানের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করেছি। তার আগে স্থানীয় চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ানদের দিয়েই এটি পরিচালনা করা হবে।’
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের একটি সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের একটি কক্ষে ল্যাবটি স্থাপন করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ল্যাব পরিচালনার জন্য দক্ষ লোকবল পদায়ন করা হয়নি। ল্যাবটি কারা পর্যবেক্ষণ করবেন, কীভাবে পরিচালিত হবে, সে ধরনের খসড়া নীতিও চূড়ান্ত হয়নি। ফলে এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক-টেকনিশিয়ানদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক রয়েছে।
Comment here