সারাদেশ

ঝড়-বৃস্টিতেও আন্দোলন

সুকান্ত সরকার, বশেমুরবিপ্রবিঃ ইতিমধ্যে পাঁচ দিনে গড়িয়েছে উপাচার্যের পদত্যাগের ন্যায্য আন্দোলন। বিভিন্ন দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ,বিনা কারনে অবাধে বহিষ্কার সহ শিক্ষার্থীদের বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে জিম্মি করে রাখায়গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত থেকে তারা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে। গতকাল রাতে প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হলেও আন্দোলন থামায়নি তারা। অবস্থান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনেই। আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থী জানায়, ” উপচার্যের পদত্যাগ ব্যতিত আমরা আন্দোলন থেকে সরে যাব না।

যতদিন পর্যন্ত না এই দুর্নীতিবাজ উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা এখানেই অবস্থান করবো।” এর মধ্যে আন্দোলন বানচাল করার লক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা ও আবাসিক হলের খাবার, পানি,বিদ্যুৎসংযোগ বন্ধ করে দিলেও পরে চালু করে দিতে বাধ্য হয় প্রসাশন এবং একই সাথে বহিরাগত ও স্থানীয় গুন্ডাবাহিনি দিয়ে শিক্ষার্থীদের উপরে নৃশংস হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। এদিকে শিক্ষার্থীদের উপরে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে সহঃপ্রক্টর পদ থেকে অব্যাহতি নেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হুমায়ুন কবির। এছাড়াও উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য জাপানের ফ্লাইট ত্যাগ করে শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে যোগ দেন গনিত বিভাগের শিক্ষক মিনারুল ইসলাম।

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য আন্দোলনের সমর্থন করে সংহতি প্রকাশ করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাতভর ক্যাম্পাসে অবস্থান করেছেন তাপস বালা(মার্কেটিং), শাহাজাহান খান(ইটিই) মশিউর রহমান(ইংরেজি) সহ আরও অনেক শিক্ষকগণ। এরমধ্যে গত ২২ সেপ্টেম্বর(রবিবার) সকালে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র চুরি করে পালানোর সময় আন্দোলনকারীদের হাতে ধরা পড়েন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা।

নিজেকে সেকশন অফিসার বলে পরিচয় দিলেও কথিত সেই কর্মকর্তার কোন পরিচয় মেলেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী তালিকাতে। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিগ্রস্থ উপাচার্য থেকে রক্ষা এবং নিজেদের অধিকার ফিরে পেতে উপাচার্যের পদত্যাগের “একদফা,একদাবি” নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

Comment here

Facebook Share