মাহের আহমেদ বগুড়ার প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনটে ধর্ষণে জন্ম দেয়া শিশুর কিশোরী মায়ের মামলায় পুলিশ ‘ধর্ষকের’ বাবা ফজলু মিয়া ও নিমগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাহার আলী পাইকারকে গ্রেফতার করেছে। ওই কিশোরী সোমবার সন্ধ্যায় ধুনট থানায় ধর্ষক মেহেদী হাসান, তার বাবা ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করে। ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতেই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। মূল আসামি মেহেদী হাসানকেও শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।
অভিযোগে জানা গেছে, ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি পাইকারপাড়ার এক কিশোরীকে মেহেদী হাসান প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রায় ১০ মাস আগে বাড়িতে কেউ না থাকায় মেহেদী ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। কিশোরী কান্নাকাটি করলে সে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেয়। এরপর বেশ কয়েক দিন তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। মেহেদী ও তার পরিবার ঘটনাটি অস্বীকার করে। পরে কিশোরীর পরিবার স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মাতবরদের কাছে বিচার দাবি করে। কিন্তু তারা বিচারের নামে কালক্ষেপণ করেন। এমনকি তাদের আইনের আশ্রয় নেয়ার সুযোগও দেয়া হয়নি। এ অবস্থায় ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরী বাড়িতে মেয়ে শিশু প্রসব করে। গ্রামের লোকজন মীমাংসার চেষ্টা করলেও মেহেদী ও তার পরিবার বিষয়টি অগ্রাহ্য করে। মেহেদীর বিচার ও শিশুটির পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে সোমবার বিকালে ধুনট থানায় আসে।
ওই কিশোরীর মা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও মাতবররা দীর্ঘদিনেও কোনো বিচার করে দিতে পারেননি। এমনকি কিছু মাতবর আমাদের ভয়ভীতিও দেখিয়েছেন। তবে নিমগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাহার আলী পাইকার বলেন, বাচ্চা জন্ম হওয়ার দু’দিন আগে ধর্ষণের ঘটনা জানতে পেরেছেন। তাই তাদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
Comment here