নিজস্ব প্রতিবেদক,ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় নাপা ওষুধের সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। শিশু দু’জনের বাবা ইটভাটার শ্রমিক ইসমাঈল হোসেন জানিয়েছেন, এটি পরিকল্পিতভাবে হত্যা। আর পরকীয়ার জেরেই শিশুদেরকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার মাঝরাতে লিমা বেগম ও তার পরকীয়া প্রেমিক সফিউল্লার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন ইসমাঈল হোসেন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে দুই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় শিশুদের মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, লিমা আশুগঞ্জের একটি চালকলে কাজ করেন। আর তার স্বামী কাজ করেন ইটভাটায়। চালকলে কাজ করার সুবাদে আরেক শ্রমিক সফিউল্লার সঙ্গে লিমার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নেন। তাই পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দুই শিশুকে হত্যা করা হয়।
এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্যা মোহাম্মদ শাহীন আটক লিমা বেগমের বরাত দিয়ে জানান, প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন শিশুদের মা। পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে মিষ্টির সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দুই শিশু ইয়াছিন ও মোরসালিনকে হত্যা করেন মা। পরে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নাপা সিরাপের রি-অ্যাকশন হয়েছে বলে প্রচার করা হয়।
এর আগে, গত ১০ মার্চ আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের দুই ছেলে ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নাপা সিরাপ খেয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ উঠে! এ ঘটনায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
Comment here