পুতুল খেলার ছলে শিশুকে ‘ধর্ষণ’ চেষ্টাকারী গ্রেপ্তার - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ক্রাইম

পুতুল খেলার ছলে শিশুকে ‘ধর্ষণ’ চেষ্টাকারী গ্রেপ্তার

গাজীপুরের  টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় চার বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণ’ চেষ্টাকারী সেই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‍্যাব-১। গ্রেপ্তার হওয়া কিশোরের নাম মো. ওমর ফারুক মিদুল (১৫)। সে টঙ্গীর একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।

র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম এসব কথা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গত ২৩ এপ্রিল টঙ্গীর পূর্ব থানা এলাকায় গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে মিদুলের বসতঘরে চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। ঘটনাটি সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।

পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতকে খুঁজে বের করতে র‌্যাব-১ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে যাচ্ছিলো।

র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক জানান, এরই পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল গত ১৫ মে রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণের চেষ্টাকারী মো. ওমর ফারুক মিদুলকে (১৫) গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি  ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। সে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন করে ছিল।

জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তারকৃত আসামির বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, ঘটনার দিন ওমর ফারুক মিদুল আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টার দিকে  ৪ বছরের ওই শিশুকে চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে তার নিজ বসতঘরে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওমর ফারুক ওই শিশুকে কৌশলে পুতুল খেলার কথা বলে খাটে শুইয়ে মুখ চেপে ধরে। এরপর তার পরনে থাকা পায়জামা এবং গেঞ্জি খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।

তখন ভিকটিম তার মুখ থেকে আসামির হাত সরিয়ে চিৎকার করা শুরু করে। এ সময় ভিকটিমের চাচা শহিদুল ইসলাম মিলন ওই ঘরে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে। তখন আসামি ওমর ফারুক দরজা খুলে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার পরে ভিকটিমের বাবা রফিকুল ইসলাম মিঠুন মেয়ের শারিরীক অবস্থা খারাপ দেখে নিকটস্থ টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করায়।

ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, আসামি ওমর ফারুক ইতিপূর্বেও অনেকবার ওই শিশুকে বিভিন্ন ধরনের খেলনার লোভ দেখিয়ে তার স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়। ভিকটিম তার মাকে আগেই জানিয়েছিল, ‘মৃদুল ভাইয়া আমাকে খেলার কথা বলে তার ঘরে নিয়ে গিয়ে শরীরে বিভিন্ন গোপন স্থানে হাত দিয়েছে।’ পরে এসব ঘটনা সম্পর্কে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সেও (ওমর ফারুক মিদুল) সত্যতা স্বীকার করেছে।

Comment here