স্পোর্টস ডেস্ক : অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ শেষে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের পাঁচ ক্রিকেটারকে দোষী সাব্যস্ত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি। আজ মঙ্গলবার ভোরে এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে আইসিসি।
বিবৃতিতে জানানো হয়, ফাইনালের ফলাফলের পর বিবাদে জড়িয়ে যাওয়ার জেরে যুবা ক্রিকেটাররা ভেঙে ফেললেন আইসিসি কোড অব কন্ডাক্ট এর ২.২১ ধারা। এই ধারায় শাস্তি পেলেন ভারত-বাংলাদেশের পাঁচজন ক্রিকেটার।
দোষী ক্রিকেটারদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের তিন ক্রিকেটার হলেন- তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও রকিবুল হাসান। আর ভারতের দুজন হলেন- আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়।
জানা গেছে, রকিবুল হাসান জয়সূচক শেষ রানটি নেওয়ার পর উল্লাসে মাতেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। এ সময় মাঠে থাকা ভারতীয়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি এমনকি সামান্য ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে। পতাকা নিয়ে টানাহেঁচড়ার ঘটনাও ঘটেছে। এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন অধিনায়ক আকবর আলী। কিন্তু অধিনায়কের ক্ষমা প্রার্থনাতেও খুব একটা লাভ হয়নি।
পরে পুরো ঘটনা নিয়ে গতকাল সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন আইসিসির ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাব্রয়। সে অনুযায়ী শাস্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের তৌহিদ হৃদয়, শামিম হোসেন ও জয়ের রান এনে দেওয়া রকিবুল হাসান।
পাশাপাশি ভারতের আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণয়কেও আইসিসির আচরণবিধির ২.২১ ধারা ভাঙায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। বিষ্ণয়ের ক্ষেত্রে ধারা ২.৫ ভাঙার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তৃতীয় মাত্রার শাস্তি হওয়ায় সবাইকে কড়া শাস্তিই দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের তৌহিদ পেয়েছেন ১০টি সাসপেনশন পয়েন্ট, যা ৬টি ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। শামিমের সাসপেনশন পয়েন্ট ৮টি হলেও ডিমেরিট পয়েন্ট কিন্তু ৬টিই থাকছে। স্পিনার রকিবুল ৪টি সাসপেনশন পয়েন্ট পেয়েছেন, যেটা ৫ ডিমেরিট পয়েন্টের সমান। এ পয়েন্টগুলো তিনজনেরই ক্যারিয়ারে আগামী দুই বছর থেকে যাবে।
ভারতের আকাশ আট সাসপেনশন ও ৬ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। বিষ্ণয় প্রথম অপরাধের জন্য ৫ সাসপেনশন ও ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। আর ২৩তম ওভারে অভিষেক দাস আউট হওয়ার পর বাজে ভাষা ব্যবহার করায় পেয়েছেন আরও দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। পাঁচ ক্রিকেটারই এ শাস্তি মেনে নিয়েছেন।
এ শাস্তির ফলে আগামী দুই বছর জাতীয় দল বা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটে শাস্তি ভোগ করতে হবে এই পাঁচ ক্রিকেটারকে। এক সাসপেনশন পয়েন্ট মানেই একটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় বা এ দলের একটি ম্যাচ খেলতে না পারার শাস্তি। সে অনুযায়ী বেশ বড় শাস্তিই জুটেছে সবার।
Comment here