বিএনপির মনোনয়ন পেতে তোড়জোড় নেতাদের - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

বিএনপির মনোনয়ন পেতে তোড়জোড় নেতাদের

মো. মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের কার্যক্রম শুরু করবে কেন্দ্রীয় বিএনপি। নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের মেয়র নির্বাচনের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত। এর পরও থেমে নেই আগ্রহী মেয়রপ্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। ডা. শাহাদাত হোসেনের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সহসভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান ও মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ মনোনয়নপ্রত্যাশী।

দলের মধ্যে একটি অংশ মনে করছেন, ডা. শাহাদাত হোসেনকেই মেয়রপ্রার্থী করতে পারে বিএনপি। আরেকটি অংশ বলছে- ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ব্যবসায়ী নেতা এরশাদ উল্লাহকে মনোনয়ন দিয়ে চমক দেখাতে পারে বিএনপি। সম্প্রতি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করা এম মোরশেদ খানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এরশাদ উল্লাহ সাংগঠনিকভাবে কোণঠাসা। গত বছর দল থেকে বহিষ্কারও হয়েছিলেন। পরে অবশ্য বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছে।

এদিকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন নগর বিএনপির সহসভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান। বিএনপির প্রতিষ্ঠানলগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নিয়াজ ডবলমুরিং থানা যুব কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি হন কেন্দ্রীয় জাসাসের চট্টগ্রাম বিভাগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক।

চট্টগ্রাম সরকারি বাণিজ্য কলেজ থেকে বিকম নিয়াজ মোহাম্মদ খান চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পরিবার পাঠানটুলী খানবাড়িতে ১৯৫৫ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪, ২০০৫ ও ২০১০ সালের নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০২ সালে সিডিএর বোর্ড মেম্বার, ২০১৩ সালে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলেন।

নিয়াজ মোহাম্মদ খান আমাদের সময়কে বলেন, শুরু থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দলীয় প্রার্থী হিসেবেই তিনবার কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেছি। ফলে চট্টগ্রাম সিটির উন্নয়নে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নিতে পারব। এর পরও দল যাকে মনোনয়ন দেয় তার পক্ষেই কাজ করতে হবে।

দলীয় মনোনয়ন চাইবেন জানিয়ে এরশাদ উল্লাহ আমাদের সময়কে বলেন, নির্বাচন করব সেটি ঠিক আছে। কিন্তু নির্বাচনে জনগণের যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে, সেটি সবার আগে ফিরিয়ে আনতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এ জন্য সরকারকেও পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্বাচনের আয়োজন করল, কিন্তু মানুষ ভোট দিতে গেল না, তা হলে নির্বাচনে অংশ নিয়ে কি হবে? সবার আগে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

এদিকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর। তিনি বলেন, দলীয় মনোনয়ন চাইব। দল যাকে যোগ্য মনে করে তাকে মনোনয়ন দেবে। আমরা সবাই মিলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করব।

এদিকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এক সভায় চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের পাশাপাশি সব স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। পাশাপাশি সাংগঠনিক ভিত্তি শক্ত করতে বলেছেন। কেন্দ্র থেকে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Comment here