‘তারুণ্যের জয় হবে নিশ্চয়’ এ প্রত্যায়ে এগিয়ে চলা রাজশাহীর গবেষণাধর্মী তরুণ সংগঠন ‘ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস এ কর্মসূচির আয়োজন করে। ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস সভাপতি মোঃ শামীউল আলীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান আতিকের পরিচালনায় কর্মসূচিতে অংশনেন, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, প্রবীণ সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম। কর্মসূচি শেষে সংগঠনটির তরুণরা ছয় দফা দাবিতে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) জিএসএম জাফরউল্লাহ’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপির অনুলিপি বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মেয়র (প্রতিমন্ত্রী) এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, প্ল্যানিং কমিশন (জিইডি) সিনিয়র সেক্রেটারি, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্টেট আব্দুল জলিল, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাকেও প্রদান করা হয়েছে।
ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস সভাপতি মোঃ শামীউল আলীম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ রাকিবুল হাসান রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাঃ আবুল বাশার, কার্যনির্বাহী সদস্য-২ মোঃ শাওন ইসলাম, সাধারণ সদস্য জনি প্রমানিক স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে জানানো ছয়দফা দাবিগুলো হলোঃ
১। চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, চিনি, লবনসহ সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার পূর্বক মূল্য বৃদ্ধি রোধ করে তা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। ২। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি কর্তৃক ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম আরো ব্যাপকহারে বিস্তৃত করতে হবে। একই সঙ্গে পণ্যের গুণগতমান, সংখ্যা, পরিমাণ ও সরবরাহ বৃদ্ধি এবং সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে হবে। ৩। তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ সকল প্রকার জ¦ালানির বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার পূর্বক মূল্য বৃদ্ধি রোধ করে তা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নয় বরং উৎপাদনসক্ষমতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন তৈরি করতে হবে; চড়া দামের তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে নয় বরং অনুসন্ধান ও উৎপাদনে জোর দিতে হবে।
৪। রাজশাহী ওয়াসা কর্তৃক পানির তিনগুণ বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার পূর্বক মূল্য বৃদ্ধি রোধ করে তা সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। একই সঙ্গে ওয়াসার পানির গুণগতমান বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। ৫। অ্যাালকোহল নিয়ন্ত্রন বিধিমালা, ২০২২-এর অনুমোদন প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে দেশের অভ্যান্তরে সকল প্রকার তামাক ও মাদকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা হ্রাস করতে হবে। ৬। উচ্চপর্যায়ের শক্তিশালী মনিটরিং সেল/টাস্কফোর্স গঠন করে নিয়মিত মনিটরিং এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে অসাধু সিন্ডিকেট ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
Comment here