অদৃশ্য করোনায় দৃশ্যমান ক্ষতি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

অদৃশ্য করোনায় দৃশ্যমান ক্ষতি

হারুন-অর-রশিদ : দেশের অর্থনীতি এক যুগ ধরে ধারাবাহিকভাবে উন্নতির পথে রয়েছে। এই সময়ে গড়ে প্রতিবছর ৬-৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে হঠাৎই নভেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে তছনছ হয়ে পড়ছে অর্থনৈতিক কাঠামো। শুধু বাংলাদেশ নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিও। ধারাবাহিক উন্নয়নের পথে ধাবিত দেশকে করোনা উল্টোপথে এনে দাঁড় করিয়েছে।

করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষায় দেশ এখন লকডাউনে। সব ধরনের উৎপাদন বন্ধ। বাজার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বড়, মাঝারি, ছোট সব ধরনের শিল্প খাত বিপর্যস্ত। কৃষি খাতে উৎপাদন বন্ধ না হলেও ফসল সংগ্রহ ও বাজারজাত নিয়ে বেকায়দায় কৃষক। কুলি, মজুর, অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত বিপুল পরিমাণ মানুষের আয়ের পথ বন্ধ।

সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অধিকাংশ মানুষ এখন অনিশ্চিত জীবনের পথে। এতে তাদের ভোগব্যয় কমছে। এ অবস্থায় অর্থনীতির সব সূচক নিম্নমুখী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দরকার। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলার প্রস্তুতিও নিতে হবে।

দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে সারাদেশই লকডাউনের আওতায়। এই অচলায় অর্থনৈতিক কর্মকা- থমকে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেছে যোগাযোগ। করোনায় অর্থনীতির বড় ক্ষতির মুখে পড়বে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কী পরিমাণ ক্ষতি হবে সেটি নির্ভর করবে সংক্রমণের স্থায়িত্ব এবং ক্ষতি মোকাবিলায় নীতিনির্ধারণী পদক্ষেপের ওপর।

করোনায় ক্ষয়ক্ষতির আভাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমদানি-রপ্তানি কমতি ধারায় রয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না-ও হতে পারে। বড়-ছোট সব শিল্প ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্য ক্ষতির মুখে পড়বে।

বাংলাদেশের রেমিট্যান্সেও বিরূপ প্রভাব পড়বে। বিভিন্ন সেবা খাত বিশেষত হোটেল-রেস্তোরাঁ, পরিবহন এবং বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল খাতের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়বে। এসব কারণে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমতে পারে।

বৈশ্বিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক বলছে, করোনার সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার সরকারি প্রাক্কলনের অর্ধেকেরও বেশি কমে ২-৩ শতাংশের মধ্যে নেমে যেতে পারে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। এ অর্থবছর তা ৮ দশমিক ২ শতাংশে নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। জিডিপির আকার ছিল ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের হিসাবমতে ৩ শতাংশ জিডিপি কমলে অর্থবছর শেষে জিডিপি ১ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা কম হবে। জিডিপি আরও বেশি কমার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।

সাবেক তত্ত্বাবধায় সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে আমদানি-রপ্তানি কমে যাচ্ছে। প্রবাসী আয়েও ধস নামছে। অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কর্মকা- স্থবির। অর্থাৎ অর্থনীতি বড় ধরনের সংকটের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে এটি বলা যায়। তবে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থার সৃষ্টি যেন না হয় সেদিকে সরকারকে নজর রাখতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নিয়েছে। সেটি যথেষ্ট নয়। তবে প্যাকেজগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন জরুরি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে উৎপাদন, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, পরিবহন, কৃষি এবং নির্মাণ খাত। দেশের জিডিপিতে এ সাত খাতের অবদান ৬৭ শতাংশের বেশি। করোনার কারণে এ সাত খাতই থমকে দাঁড়িয়েছে।

 

করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উৎপাদন খাত। উৎপাদনশীল শিল্পগুলো কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি, লোকবল ইত্যাদির জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর নির্ভরশীল। আবার উৎপাদনকৃত পণ্যও বিক্রি করা হয় বিভিন্ন দেশে। কিন্তু আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ বললেই চলে। বিশ্বের ১৮৫টি দেশে করোনা ছড়িয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) তথ্যমতে, আমদানি-রপ্তানি প্রধান বাজারসহ ৮০টি দেশে আমদানি-রপ্তানি সাময়িকভাবে বন্ধ। বহির্বিশ্বের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ বাংলাদেশের। এতে প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প বেকায়দায় পড়েছে। কাঁচামালের প্রধান উৎস চীনের সঙ্গে আমদানি বন্ধ। ফলে কাঁচামালের সংকট তৈরি হয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার বড় বড় বাজারে নতুন অর্ডার আসছে না; আগের অর্ডারও বাতিল হচ্ছে। চামড়া, কৃষি, আসবাবপত্র অন্য রপ্তানি খাতগুলোও বেকায়দায় পড়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) কাছে বিজিএমইএ দেওয়া তথ্যমতে, গত ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ৩২০ কোটি ডলার বা ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে শুধু পোশাক খাতেই ক্ষতি হবে ৪২ থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকা। তবে সংক্রমণ তীব্র হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। অধিকাংশ কারখানা বন্ধ। শ্রমিকরা চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বেন কিনা সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও সরকার ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে শ্রমিকদের বেতন দিতে। এখন রপ্তানমুখী শিল্পের ৪০ লাখ মানুষের জীবিকা নির্ভর করছে কারখানা সচল হওয়ার ওপর।

তৈরি পোশাকশিল্প মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি আরশাদ জামাল দিপু বলেন, করোনার কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে তা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি। এখন পর্যন্ত ৩২০ কোটি ডলারের রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়েছে। সব মিলিয়ে ৫০০ কোটি ডলারের (৪২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) ক্ষতি হয়েছে।

করোনার কারণে লকডাউনে সড়ক নৌপথে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ বন্ধ। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর তথ্যমতে, সড়কপথে প্রতিদিন ক্ষতি হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকার মতো। এ হিসাবে গত প্রায় এক মাসে ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন অব এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড শিপবিল্ডার্স ইন্ডাস্ট্রিজের দাবি, নৌ খাতে ক্ষতি হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার ওপরে। এ শিল্পের সঙ্গে ২ লক্ষাধিক লোক জড়িত।

বিশ্বব্যাপী যোগাযোগহীনতায় পর্যটনশিল্প ভয়াবহ হুমকির মুখে। পর্যটন ব্যবসা একেবারেই বন্ধ। বৈশ্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশে এ খাতে তেমন অবস্থান নেই। কিন্তু নির্ভরশীল অনেক খাত ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান জানান, পর্যটনশিল্পে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি এ খাতের অন্তত ৪০ লাখ পেশাজীবী এখন বেকার। অচল অবস্থার কারণে জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন ট্যুর অপারেটর, ট্রাভেল এজেন্ট, হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, বিমান সংস্থা, পর্যটক পরিবহন ও গাইডিং সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের (পাটা) গ্লোবাল এক্সিকিউটিভ বোর্ড মেম্বার ও বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান শাহীদ হামিদ জানান, এভিয়েশন খাতে বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলো ব্যবসা হারাবে ৬০০ কোটি টাকার এবং এ খাতে চাকরি হারানোর আশঙ্কা রয়েছে দুই হাজার জনের। ৩ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হারাবে ট্রাভেল এজেন্টরা, চাকরি হারাতে পারেন ১৫ হাজার।

কৃষি খাতে ছোট ও মাঝারি শিল্পে কী পরিমাণ ক্ষতি হবে তার পূর্বানুমান সম্ভব হয়নি। ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। পরিবহন বন্ধ থাকায় কৃষকরা ফসল ঘরে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমিক পাচ্ছেন না। গ্রীষ্ম মৌসুমের সবজি উৎপাদন ভালো হয়েছে। কিন্তু বাজার ব্যবস্থার কারণে লোকসানে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক। সামনে আসছে আম, কাঁঠাল ও লিচুর মৌসুম। বাজার স্বাভাবিক না হলে এসব চাষি নজিরবিহীন লোকসানের মুখে পড়বেন। এদিকে রমজান মাস শুরু হয়েছে। ইফতারের বাজার ইতোমধ্যে বন্ধ। ঈদকেন্দ্রিক বেচাকেনা সম্ভব কিনা সেটি নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল হওয়ায় ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে কৃষক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের।

দেশের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রার জোগানদাতা এবং গ্রামীণ অর্থনীতির চাঙ্গার কারিগর প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স অর্থনীতিতে উদ্দীপকের মতো কাজ করে। বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য শূন্যে নেমে এসেছে। তেলনির্ভর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের প্রধান শ্রমবাজার। করোনার কারণে সৃষ্ট মন্দায় অনেকেই চাকরি হারানোর আশঙ্কা করছেন। এপ্রিলের প্রথম অর্ধমাসিকে রেমিট্যান্স কমেছে ২২ শতাংশের মতো। ভবিষ্যতে এটি আরও কমতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অর্থনীতির সব সূচকের নেতিবাচক অবস্থান দেশের ব্যাংকিং খাতকেও বেকায়দায় ফেলবে। বর্তমানে কার্যত ৫৯টি ব্যাংকের প্রথম সংকট হবে আমানত কমে যাওয়া। এর পর ঋণের টাকা ফেরত না আসা। আবার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকার ঘোষিত প্যাকেজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব ব্যাংকগুলোর ঘাড়ে। আবার অর্থনীতির কার্যক্রম থমকে যাওয়ায় সরকারের রাজস্ব আদায় অনেক কম হবে। সরকার অর্থের জন্য ব্যাংক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে পারে। এতে তীব্র তারল্য সংকটে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২০০৮ সালের মন্দায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অনেক শক্তিশালী ব্যাংক বন্ধ হয়েছিল। করোনার আঘাত তীব্র হলে বাংলাদেশে বহু দুর্বল ব্যাংক রয়েছে। তাদের পরিণতি কী হবে সেটি নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

করোনার আঘাত থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করতে বিভিন্ন সময়ে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাস্তবায়ন করবে। বড় শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার চলতি মূলধন, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মূলধনের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) বেড়েছে ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা, রপ্তানিমুখী শিল্পের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকা, রপ্তানিতে আগের সময়ে সহায়তা দিতে প্রিশিপমেন্ট তহবিল ৫ হাজার কোটি টাকা, কৃষি খাতে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং নিম্নআয়ের মানুষের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্যাকেজ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও উদ্যোক্তারা বিভিন্ন শর্ত এবং প্রদত্ত সুবিধার পরিমাণ, আওতা ও মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছেন।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, করোনার কারণে কারখানায় উৎপাদন বন্ধ। রপ্তানি আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে। নতুন আদেশ আসছে না। আগেই যে কাঁচামাল আমদানি করা হয়েছে তার বিল পরিশোধের সময় এসে গেছে। আবার কারখানা বন্ধ থাকায় কাঁচামাল ও অনেক যন্ত্রপাতি নষ্ট হবে। প্যাকেজের অর্থ দিয়ে সাময়িক ক্ষতি কাটানো যাবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বাংলাদেশের পোশাক খাতে রপ্তানি আদেশ অনেক বাড়বে। কারণে বিশ্ববাসীর আয় কমে গিয়ে তারা তুলনামূলক কম ব্যয় করবেন। আর সস্তায় পোশাক তৈরির জন্য বাংলাদেশ অন্যতম। তবে সেই বাজার ধরতে হলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ও নীতি সহায়তার প্রয়োজন পড়বে।

Comment here