" আগামী বিশ্বের উন্নয়নে শিশুরাই হোক অবদানকারী " - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
মুক্ত বাক

” আগামী বিশ্বের উন্নয়নে শিশুরাই হোক অবদানকারী “

মাহাথীর ওসমান মাহিল :শিশু অধিকার হলো  একাধিক মৌলিক অধিকারের সমষ্টি যা প্রতিটি শিশুর মঙ্গল, উন্নয়ন এবং মর্যাদা রক্ষা করে। এই অধিকারগুলি, জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক  শিশু অধিকার সনদের অন্তর্ভুক্ত, সুরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিশুদের জন্য একটি লালনপালন পরিবেশের গুরুত্বের উপর জোর দেয়।
এই অধিকারগুলি  তাদের মতামত প্রকাশ করার, শোষণ থেকে মুক্ত হওয়ার এবং তাদের শারীরিক, মানসিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক বৃদ্ধির সুবিধা দেয় এমন সুযোগগুলিতে অনুমতি পাওয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়। শিশু অধিকার সমুন্নত রাখা একটি ন্যায্য ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে শিশুরা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার সাথে সাথে তাদের সম্প্রদায়ে উন্নতি করতে পারে এবং ইতিবাচকভাবে অবদান রাখতে পারে।
বর্তমানের শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই তাদের মৌলিক,  সঠিক ও প্রাপ্য  অধিকারসমুহ নিশ্চিত করতে হবে । তাদেরই হাত ধরে আগামী বিশ্বের উন্নয়ন সাধিত হবে। তাই তাদের সঠিক গঠন  খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাদের সকল অধিকার নিশ্চিত করা দরকার। এখোনো বিশ্বের অনেক দেশে শিশুদের অধিকার সঠিকভাবে আদায় করা হয়না। যার ফলে সে দেশের উন্নয়ন সাধিত হয়না। বৈশ্বিক উন্নয়নে শিশুশ্রম একটি বিরাট অন্তরায়। শিশুশ্রম,  শিশুদের অধিকার আদায়ের কার্যক্রমকে বিঘ্নিত করে। আমরা জানি ১৮ বছরের নিচে সকলেই শিশু। এই সময় হচ্ছে শিশুদের শিক্ষা গ্রহন, গঠন বৃদ্ধি,  সামাজিক ও বৈশ্বিক পরিবেশের ইত্যাদির সাথে পরিচিত হওয়ার  সময়।
যদি এই সময় শিশুদেরকে কাজে প্রেরন করা হয় তবে তা শিশুর মৌলিক অধিকারের বিরুদ্ধে এবং শিশু অধিকার লঙ্ঘন করা হয়। এর ফলে শিশুর মন মানসিকতা নষ্ট হয় এবং তারা  সামাজিক পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারেনা।  শিশুশ্রম শিশুর স্বাভাবিক জীবনকে বিঘ্নিত করে। তাই শিশুশ্রম প্রতিরোধ করা অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
জাতিসংঘ ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক  শিশু অধিকার সনদে শিশুদের সকল অধিকার আদায় বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করেছে। এবং শিশুশ্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ ২০০৬ – শিশু আইনে ১৪ বছরের নিচের শিশুদেরকে কাজে নিয়োগ নিষিদ্ধ করেছে।
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। জাতীয় ও  বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করছে। যদিও বর্তমান বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভমিকা রাখছেন তবুও আগামীতে বাংলাদেশের সঠিক ও সর্বোচ্চ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শিশুদের ন্যায্য অধিকার আদায় করতে হবে, তাদের শিক্ষার মান উন্নত করতে  হবে যাতে তারা আগামীতে শিক্ষিত ও উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলতে পারে।
“স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল ” তাই তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর ও পর্যাপ্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে,  তাদের সামাজিক ও নিরাপদ জীবনযাপনের জন্য উপর্যুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে এবং শিশুশ্রম প্রতিরোধ করতে হবে। আর এভাবে শিশুদের অধিকার আদায় করলে তারা আগামী বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।

Comment here