আরও ২০ লাখ টাকা পাচ্ছেন গ্রিন লাইনে পা হারানো রাসেল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

আরও ২০ লাখ টাকা পাচ্ছেন গ্রিন লাইনে পা হারানো রাসেল

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই বছর আগে রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে বাসের চাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে আরও ২০ লাখ টাকা দেবে গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার গ্রিন লাইন পরিবহনের সম্মতির ভিত্তিতে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচাপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেয়।

এর আগে রাসেল সরকারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নে হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছিল, তার নিষ্পত্তি করেই এ রায় এল।

আদালত বলেছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে ওই ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে হবে গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষকে। তাদের সম্মতির ভিত্তিতে এই রায় হওয়ায় এর বিরুদ্ধে আর আপিল হবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

 

এর আগে তিন দফায় রাসেলকে মোট সাড়ে ১৩ লাখ টাকা দিয়েছিল গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্টের রায়ের ফলে সব মিলিয়ে তিনি পাবেন সাড়ে ৩৩ লাখ টাকা।

গত ৫ মার্চ এই মামলায় ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য যে কোনো দিন অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন আদালত।

২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল মেয়র মো. হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিনলাইন পরিবহনের ধাক্কায় প্রাইভেটকারচালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ ঘটনায় গাইবান্ধার একই এলাকার বাসিন্দা জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সরকারদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (বর্তমানে কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক) অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।

হাইকোর্ট ওই বছরের ১৪ মে এ বিষয়ে রুল জারি করেন। রুলে কেন রাসেলকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

পরে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এক আদেশে রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশ দেন। প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা করে দিতে বলা হয়। এই নির্দেশের পর এ পর্যন্ত সাড়ে ১৩ লাখ টাকা দিয়েছে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ।

গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট এক আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাসেলকে ৫০ লাখ টাকা দিতে গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রয়োজন হলে তার পায়ে অস্ত্রোপচার এবং কাটা পড়া বাঁ পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচ দিতে ওই পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর অগ্রগতি হলফনামা আকারে ৩১ মার্চের মধ্যে আদালতে দাখিল করতেও বলা হয়। তবে হাইকোর্টের ১২ মার্চের আদেশের বিরুদ্ধে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ আপিল বিভাগ আবেদন করে, যা ৩১ মার্চ খারিজ হয়। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে।

Comment here