কবর থেকে তোলা হলো ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কবর থেকে তোলা হলো ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আদালতের নির্দেশে দাফনের ১৫ দিন পর ব্যাংক কর্মকর্তা আজম খানের (৪৬) মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় মিরসরাই উপজেলা সহকারী কর্মকর্তা (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে থানা-পুলিশ মরদেহটি উত্তোলন করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

লাশ উত্তোলনের সময় মামলার বাদী, নিহতের ছোট বোন নার্গিস আক্তার ও নিহতের অন্যান্য স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আজম খান হত্যার বিচার চেয়ে তার স্ত্রী ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

পারিবারিক ঝগড়া ও মারামারির দুই দিন পর গত ৯ এপ্রিল মৃত্যু হয় ব্যাংক এশিয়ার ফেনী শাখার ব্যবস্থাপক আজম খানের। হাসপাতাল সূত্রে মৃত্যুর কারণ হৃদ্‌রোগে বলা হলেও আজম খানের বোনসহ বাবার বাড়ির দিকের স্বজনরা সেটিকে চ্যালেঞ্জ করেন। আজম খানের স্ত্রী কামরুন নাহার (৩৬), স্ত্রীর বড় বোন লুৎফর নাহার (৩৯), নাহারের ছেলে তানভীর (৩১) ও ফারুকসহ চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন আজম খানের বোন নার্গিস আক্তার।

পরে নার্গিস আক্তারের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত তদন্তের স্বার্থে মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রয়োজনে উত্তোলনের নির্দেশ দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ব্যাংক কর্মকর্তা আজম খানের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ

নিহত আজম খানের মরদেহ উত্তোলন করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন নিজামপুর কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ, পরিদর্শক মো. মাসুদ খান। তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর ১৫ দিন পর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।‌ মরদেহের গায়ের চামড়া এক প্রকার উঠে গেছে, পচন ধরেছে শরীরে। এর বাইরে কিছু বলতে পারছি না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সাপেক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিস্তারিত বলতে পারবেন।

ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকি বিষয়গুলো আদালত ও পুলিশের কাজ। এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না।’

Comment here