করোনা আতঙ্কে শেয়ারবাজারে ধস - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
শেয়ারবাজার

করোনা আতঙ্কে শেয়ারবাজারে ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর পুঁজিবাজারে সূচক পতনের গতি আরও তীব্র হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন শনাক্ত হওয়ায় আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন, যা শেয়ারবাজারকে ঠেলে দিয়েছে বড় পতনের দিকে।

টানা তিন কর্মদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৮০ পয়েন্ট পড়ে যাওয়ার পর আজ সোমবার আড়াই ঘণ্টার লেনদেনে এ সূচক আরও ২০৬ পয়েন্ট বা ৪.৮ শতাংশ কমে গেছে। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই বেলা ১টা পর্যন্ত ৫৪১ পয়েন্ট বা ৪.১ শতাংশ কমে গেছে।

দিনের লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর পরই আতঙ্কে বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে দিতে থাকেন। তবে বিক্রেতা বেশি হলেও তুলনামূলকভাবে ক্রেতা অনেক কম থাকায় পড়তে থাকে অধিকাংশ শেয়ারের দাম। এতে লেনদেন শুরুর প্রথম ঘণ্টা শেষে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে আসা ৩৪৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৩৮টিই দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল, যা লেনদেনে আসা মোট শেয়ার ও ফান্ডের প্রায় ৯৭ শতাংশ।

প্রায় সব শেয়ারের দর কমায় ডিএসইএক্স সূচক ২০৩ পয়েন্ট হারিয়ে ৪ হাজার ৮২ পয়েন্টে নেমে আসে। সূচক পতনের হার ছিল পৌনে ৫ শতাংশ। বেলা ১১টা ২৬ মিনিটে সূচকটি রোববারের তুলনায় ২০১ পয়েন্ট হারিয়ে ৪ হাজার ৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছিল।

সূচকের পতন ২০০ পয়েন্ট ছাড়ানোর প্রেক্ষাপটে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্ক কমাতে ও দরপতন ঠেকাতে আইসিবি ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপালীসহ একাধিক ব্যাংক শেয়ার কিনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। মাত্র ২০ মিনিটেই রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় কিছু শেয়ারের দরপতন কমলে ডিএসইএক্স সূচকটি ৪ হাজার ৭৭ পয়েন্ট থেকে ৪১৫২ পয়েন্টে উঠে আসে। এ সময় সূচকটির অবস্থান ছিল রোববারের তুলনায় ১৩৫ পয়েন্ট নিচে।

জানুয়ারিতে বড় ধসের পর পুঁজিবাজার জাগাতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার আওতায় ব্যাংকগুলোকে ‘বিশেষ তহবিল’ গঠনের সুযোগ দেওয়ার পর থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল।

টানা কয়েক দিন লেনদেনের পাশাপাশি সূচক বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাও ফিরতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বাজারে ফের লেনদেন ও সূচক কমতে শুরু করে।

Comment here