কারফিউ দিলেও খুলনায় গণসমাবেশ হবে: ফখরুল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

কারফিউ দিলেও খুলনায় গণসমাবেশ হবে: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : কারফিউ দিলেও আগামী ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার শুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দল ও বাংলাদেশ ইসলামিক দলের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গত ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহের সমাবেশকে কেন্দ্র করে গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। নৌকা, ট্রলার ও রিক্সায় করে জনগণ সমাবেশে এসেছে। রিক্সা চালক ভাড়াও নেননি। এটাই হচ্ছে জনগণের অংশগ্রহণ। গাড়ি বন্ধ করুক আর যাই বন্ধ করুক খুলনায় গণতন্ত্রের দাবিতে জনগণ উপস্থিত হবে। আমরা হরতাল-কারফিউ কিছুই মানব না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, বিএনপি আরেকটি ১/১১ সৃষ্টির দিবা স্বপ্ন দেখছে এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ করেছে তো, এই অভ্যাস ওদের আছে। সেই জন্যই তারা এ কথা মনে করেন। আমরা দিবা স্বপ্ন দেখি না। আমরা স্বপ্ন দেখি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের। ভোটাধিকার নিশ্চিত করার। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার।’

আজ বিকেল ৪ টায় জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা এবং বিকেল ৫ টায় ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরীর সঙ্গে সংলাপে বসেন বিএনপি মহাসচিব। উভয় দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানও উপস্থিত ছিলেন। সংলাপে জাতীয় দলের অন্য সদস্যরা হলেন, রফিকুল ইসলাম, শামসুল আহাদ, সারোয়ার আলম, লুতফুল হাবিব, মাসুদ চৌধুরী, সাইফুল আলম রুমেল, শহীদ আলী, বেলায়েত হোসেন শামীম, আতিকুর রহমান ও মো. রফিকুল ইসলাম। ইসলামিক পার্টির অন্য সদস্যরা হলেন, আবুল কাসেম, এজাজ হোসেন, সিদ্দিক আহমেদ নোমান, সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী, আব্দুর রহমান, আদেল উদ্দিন মাহমুদ, সুজন মাহমুদ ও সাইফুর রহমান।

বাংলাদেশ জাতীয় দল ও বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কয়েকটি বিষয় একমত হয়েছি। এরমধ্যে সংসদ বিলুপ্ত করে সরকারকে পদত্যাগ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের গঠন করতে হবে। সেই সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করতে হবে।’

আজ বুধবার খুলনা মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই গণসমাবেশের দল নেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপির জনসমর্থন এখন সমুদ্রের মতো বিশাল। সরকার যতই কূটকৌশলের আশ্রয় নিক না কেনো, আগামী ২২ অক্টোবরের গণসমাবেশ হবে। এর আগে খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনা থেকে সকল বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাস মালিক সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শ্রমিক ইউনিয়ন সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। খুলনা থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২শ’ বাস দেশের ১৮টি রুটে চলাচল করে।

খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পী বলেন, খুলনার বিভিন্ন উপজেলা এবং বিভাগের ৯টি জেলা থেকে সমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি তারা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন। সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি বলেন, বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীদের যে কোনোভাবে সমাবেশে আসতে বলা হয়েছে। নেতাকর্মীরা আগে এসে খুলনা নগরীর আবাসিক হোটেল ও আত্মীয়দের বাসায় অবস্থান নেবেন।

 

Comment here