খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির দুই পন্থা - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপির দুই পন্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক : কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাজপথে জোরালো কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে নেতাদের সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়াও বৈঠকে বিএনপির ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা-মহানগর-উপজেলা পর্যায়ে র‌্যালি, সভা-সমাবেশ-আলোচনাসভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

বৈঠকে কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা র‌্যালি ও পরদিন আলোচনাসভা করা হবে। এর পরই কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশগুলো সমাপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নেতারা জানান।

লন্ডন থেকে স্কাইপে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যোগ দেন। বৈঠকে ছাত্রদলের ১২ বহিষ্কৃৃত নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতারা বলেন, ‘তারেক রহমান হেসে বলেছেন এ নিয়ে চিন্তা না করে তার (তারেক রহমান) ওপর আস্থা রাখতে।

বিকাল ৫টা থেকে দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ বৈঠকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, গয়েশ্বরচন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান,আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য ও তার মুক্তির বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে অবহিত করব এবং যে অন্যায়ভাবে দেশনেত্রীকে আটক করে রাখা হয়েছে সে বিষয়টা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছে না। সরকার বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরা ন্যায়বিচার এখানে পাব কিনাÑ এটা কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। সে কারণে দেশনেত্রীর মুক্তির আন্দোলনকে বেগবান করতে বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশের কর্মসূচি অব্যাহত রাখব। আগস্ট মাসে সরকার কোনো কর্মসূচি নিতে দেয় না। সে কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবার শুরু করব।

ডেঙ্গু : এখনো ওষুধ আসেনি, বিনামূল্যে চিকিৎসার দাবি

মির্জা ফখরুল বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের চেয়ে আরও ভয়াবহ। দুর্ভাগ্যের বিষয়টা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু ওষুধ এসে পৌঁছেনি। আমরা দাবি জানাচ্ছি সম্পূর্ণ বিনা খরচে চিকিৎসার জন্য সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কোরবানির চামড়া নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটের তৎপরতা এবং সরকারের ব্যর্থতার কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। অবিলম্বে এ শিল্পকে রক্ষার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

Comment here