গ্রামাঞ্চলে হাট-বাজার স্থানান্তর নির্দেশ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

গ্রামাঞ্চলে হাট-বাজার স্থানান্তর নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় বসা হাট-বাজার স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আজ রোববার স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক আদেশে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রশাসন-১ শাখার উপসচিব ড. জুলিয়া মইন স্বাক্ষরিত অতি জরুরি এ আদেশে বলা হয়, দেশের গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ হাট-বাজার সংকীর্ণ স্থানে অবস্থিত, ফলে সেখানকার অবস্থানরত ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে যেকোনো ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়।

এতে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাগণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রয়-বিক্রয় করা প্রয়োজন। ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে গ্রামীণ কাঁচা বাজারগুলো তুলনামূলকভাবে খোলা স্থানে স্থানান্তর করা হলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

এমতাবস্থায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রামীণ হাট-বাজার, কাঁচা বাজারসমূহ স্কুলের মাঠ, খেলার মাঠ, খোলা জায়গায় স্থানান্তরের প্রয়োজনীয়তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আদেশটি ইতোমধ্যে দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলের জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভা মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে দেশে একদিনে সর্বাধিক করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ১৩৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এর আগের দুই দিন সংক্রমণের হার কম ছিল। গতকাল করোনায় আক্রান্ত হয় ৫৮ জন। তার আগের দিন আক্রান্ত হয়েছিল ৯৪ জন।

আজ রোববার দুপুর আড়াইটায় মহাখালী থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি বলেন, ‘নতুন আক্রান্ত এই ১৩৯ জনের মধ্যে ৯৬ জন পুরুষ এবং ৪৩ জন নারী।’

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে বেড়েই চলেছে আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা। তবে গত দুই দিন সংক্রমণের হার কমে এসেছিল। শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয় ৫৮ জন। তার আগের দিন আক্রান্ত হয়েছিল ৯৪ জন। এর আগের দিন বুধবার আক্রান্তের সংখ্যা বেশি ছিল, ১১২ জন। আজ নতুন করে সর্বাধিক রোগী শনাক্ত হওয়ায় সর্বমোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৬২১ জনে। এ রোগে সর্বমোট মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের।

Comment here