ঘুম থেকে উঠেই কী কী করেন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
জাতীয়

ঘুম থেকে উঠেই কী কী করেন, জানালেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘুম থেকে উঠে কী কী করেন সে সম্পর্কে সংসদ অধিবেশনে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী জানান, ঘুম থেকে উঠেই প্রথমে নামাজের জন্য জায়নামাজ খোঁজেন তিনি। এরপর কী কী করেন সে সম্পর্কেও সংসদকে অবহিত করেন শেখ হাসিনা।

একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্ব, জরুরি জন-গুরুত্বসম্পন্ন বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ (বিধি-৭১), স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন, বিল প্রত্যাহার ও আইন প্রণয়ন কার্যাবলী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, তিনি নিজে ঘুম থেকে উঠে মোবাইল ফোন খোঁজেন, তার স্ত্রী ঘরদোর পরিষ্কার করতে ঝাঁড়ু খোঁজেন। তিনি জানতে চান সকালে উঠে কী খোঁজেন প্রধানমন্ত্রী।

 

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকালে উঠে আমি জায়নামাজ খুঁজি। সকালে উঠে আগে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে কোরআন তেলাওয়াত করি। তারপর এক কাপ চা নিজে বানাই। সকালের চা আমি নিজে বানিয়ে খাই। চা-কফি যাই বানাই নিজে বানিয়ে খাই। ছোট বোন বাসায় থাকলে দুজনের যে আগে ওঠে সে বানায়। মেয়ে পুতুল আছে। সেও আগে উঠলে বানায়। তার আগে ঘুম থেকে ওঠার পর নিজের বিছানাটা গুছিয়ে রাখি। এরপর বই-টই যা পড়ার পড়ি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইদানীং করোনাভাইরাসের পরে সকালে একটু হাঁটতে বের হই। তবে আরেকটা কাজ করি এখন। সেটা বললে কী হবে (হেসে ফেলেন)। গণভবনে একটি লেক রয়েছে। হাঁটার পরে লেকের পাড়ে যখন বসি, তখন ছিপ নিয়ে বসি। মাছ ধরি।

পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে সামাজিক ও পারিবারিক শিক্ষা পেয়েছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আব্বার নির্দেশ ছিল একজন রিকশাওয়ালাকেও আপনি বলে সম্বোধন করতে হবে। ড্রাইভারকে ড্রাইভার সাহেব বলতে হবে। কাজের যারা লোকজন তাদের কখনো চাকর-বাকর বলা যাবে না। হুকুম দেওয়া যাবে না। তাদের কাছে কিছু চাইতে হলে সম্মান করে ভদ্রভাবে চাইতে হবে। যে কারণে আমি প্রধানমন্ত্রী হতে পারি, যতদূর পারি নিজে করে খাই। কিন্তু এখনো আমার বাড়িতে কাজের মেয়ে যারা আছে, কারও কাছে যদি এক গ্লাস পানিও কখনও চাইতে হয়, তাদের জিজ্ঞাসা করি, আমাদের এটা দিতে পারবে? এই শিক্ষাটা আমরা নিয়ে আসছি। এই শিক্ষা বাবা আমাদের দিয়ে গেছেন। এখনো মেনে চলি। আমরা সবাইকে সমান সমাদর করি। বরং যাদের কিছু নেই তাদের দিকে একটু বেশি নজর দিই।’

Comment here