ছুটি ঈদ পেরিয়ে গেলেও কর্মস্থল ত্যাগে মানা, চলাচলেও কড়াকড়ি - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
ঢাকাসমগ্র বাংলা

ছুটি ঈদ পেরিয়ে গেলেও কর্মস্থল ত্যাগে মানা, চলাচলেও কড়াকড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দফায় দফায় ছুটি বাড়াচ্ছে সরকার। নতুন করে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। এ ছুটি ঈদের পর পর্যন্ত হলেও কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মোহম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক আদেশে সাধারণ ছুটি চলাকালীন ১৫টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে চলাচলে কড়াকড়ি ও কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, ‘আগামী ১৭ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটিকালীন জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা/ সীমিত থাকবে। ২১ মে (শব-ই-কদরের সরকারি ছুটি), ২২,২৩,২৯ ও ৩০ মে সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪,২৫ ও ২৬ মে (ঈদ-উল-ফিতরের সাধারণ/সরকারি ছুটি) এ ছুটি/ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’

এতে বলা হয়, ‘জেলা এবং এক উপজেলা হতে অন্য উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে। জেলাপ্রশাসন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এ নিয়ন্ত্রণ সতর্কভাবে বাস্তবায়ন করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। রাত ৫টা হতে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদাহ দাফন/ সৎকার ইত্যাদি) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।’

নতুন করে দেওয়া এ ছুটির সময়ে কেউ তার কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না বলে জানানো হয়। আদেশে বলা হয়, ‘উক্ত সাধারণ ছুটি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞাকালে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। উক্ত সময়ে সড়কপথে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল এবং অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে এবং মহাসড়কে মালবাহী/জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ব্যতীত অন্যান্য যানবাহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’

ঈদের জামাতে বড় জমায়েত পরিহারের কথা জানিয়ে বলা হয়, ‘আসন্ন ঈদ উল ফিতরের নামাজের ক্ষেত্রেও বর্তমানে বিদ্যমান বিধি- বিধান প্রযোজ্য হবে। উন্মুক্ত স্থানে বড় জামায়েত পরিহার করতে হবে। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।’

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফায় বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। চতুর্থ দফায় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। আরেক দফায় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। সর্বশেষ এই ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এখন আবার নতুন ছুটির সিদ্ধান্ত হলো।

Comment here