শেরপুরে রনক স্পিনিং মিলের মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সহ আহত ২১ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

শেরপুরে রনক স্পিনিং মিলের মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সহ আহত ২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সোলাকুড়ি ফকিরতলা গ্রামে অবস্থিত রনক স্পিনিং মিলে কর্মী ছাটাই করাকে কেন্দ্র করে মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে শেরপুর থানার কনষ্টেবল মহসিন আলী, ইসরাফিল, আবু তালেব ও আনজাম সহ কমপক্ষে ২১ জন শ্রমিক আহত হয়। পরে শ্রমিকরা ঘটনার প্রতিবাদ জানালে পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। গুরুতর আহত ৭ শ্রমিক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং কনষ্টেবলরা শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায়, ১৪ মে বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের সোলাকুড়ি ফকিরতলা গ্রামে অবস্থিত রনক স্পিনিং মিল বন্ধ হওয়ার কথা শুনে ১৩ মে রাতে শরিফুল ইসলাম ও আব্দুল মালেক নামের দুই শ্রমিক সকল শ্রমিকের পক্ষে জিএম মুঞ্জুরুল মোর্শেদের কাছে বেতন চাইতে যায়। কিন্তু জিএম তাদের বেতন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন শ্রমিকদের সাথে মালিক পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে শরিফুল ইসলাম ও আব্দুল মালেককে কোম্পানী থেকে ছাটাই করা হয়। এই ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। পরদিন ভোরে কোম্পানীর লোকজন পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশের এসআই পুতুল মোহন্ত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গিয়ে শ্রমিকদের লাঠিচার্জ সহ এলোপাথারী মারপিট করে। এতে শ্রমিকরা আরো ক্ষিপ্ত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের প্রায় ৩৫ জন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশের এসআই পুতুল মোহন্ত বলেন, কোন প্রকার গুলি ছোড়া হয়নি। শ্রমিকরা তাদের ভুল বুঝতে পেরে মালিকদের সাথে আপোষ হয়েছে। এ ব্যাপারে রনক স্পিনিং মিলের গ্রুপ জিএম আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃস্টি হলে পুলিশ এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, শ্রমিকদের সাথে কোম্পানীর লোকজনদের সংঘর্ষের কথা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করতে ৬ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। ৪ জন পুলিশ সামান্য আহত হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় পরিস্থতি এখন শান্ত রয়েছে।

Comment here