‘ডাক্তার-নার্স তো রোগীদের ধইরাও দেখে না’ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

‘ডাক্তার-নার্স তো রোগীদের ধইরাও দেখে না’

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে মারা যাওয়া বাবা-ছেলের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। ছেলে রিমন হোসেনের (২৫) করোনা নেগেটিভ এলেও ‘স্ট্রোক’ করে মারা যাওয়া বাবা ইয়ার হোসেনের নমুনা পজিটিভ এসেছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ও ইয়ার হোসেনের স্বজনদের মাধ্যমে এ তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদার।

পুলিশ পরিদর্শক বলেন, ‘হাজী ইয়ার হোসেনের করোনা পজিটিভ এসেছে এবং তার ছেলে রিমনের নেগেটিভ এসেছে। তাদের বাড়িটি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের অন্যদের শারীরিক অবস্থা জানতে সার্বক্ষণিক খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অন্য কারও কোনো উপসর্গ ধরা পড়েনি।’

ইয়ার হোসেনের ভাই সানিক হোসেন জানান, গত ৯ মে রূপগঞ্জের গাজী কোভিড-১৯ পিসিআর ল্যাবে তার ভাই ও ভাতিজা-ভাতিজির করোনা পরীক্ষা করানো হয়। তিনজনেরই করোনা উপসর্গ ছিল। তারা চার ভাইয়ের পরিবারের ১২ জন সদস্য একই বাড়িতে বসবাস করেন। সেটি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

ভাই-ভাতিজার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন সানিক হোসেন। আক্ষেপ করে আমাদের সময়কে তিনি বলেন, ‘এই দেশে কোনো রোগেরই চিকিৎসা নাই। নিজের চোখের সামনে দেখছি, ভাতিজারে নিয়া সব হাসপাতাল দৌঁড়াইছি, কেউ ভর্তি রাখে নাই। পোলাডায় মারা গেল সেই শোকে মারা গেল ভাই। দেশে যে চিকিৎসা নাই এইডা দয়া কইরা আপনারা লেখেন। চিকিৎসা সেবা যাতে ভালো করে। ডাক্তার-নার্স তো রোগীদের ধইরাও দেখে না।’

গতকাল সোমবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান রিমন হোসেন। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্ট্রোক করেন বাবা ইয়ার হোসেন। পরে তিনিও মারা যান। সিদ্ধিরগঞ্জের সরদারপাড়া মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন ইয়ার হোসেন।

Comment here