নজর কাড়ছে ‘জলতরঙ্গে বিজয় নিশান’ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

নজর কাড়ছে ‘জলতরঙ্গে বিজয় নিশান’

নিজস্ব প্রতিবেদক,বগুড়া : স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুজিব চত্বরের চারদিকটা সাজানো হয়েছে আলোকসজ্জায়। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে একটি জায়গায় দৃষ্টি আটকে যাচ্ছে সবার। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই পুকুরের পানিতে ভেসে উঠছে লাল-সবুজের বিজয় নিশান। বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের পাশের মুজিব চত্বর এলাকায় পুকুরে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, নাম দেওয়া হয়েছে ‘জলতরঙ্গে বিজয় নিশান’।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে  ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলা প্রশাসন। স্বাধীনতা দিবসে সেটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে। ধুনট উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৫ দিন ধরে মজাপুকুর খনন করে কর্মযজ্ঞটি সম্পন্ন করা হয়েছে।

পুকুরের নিচে থাকা সামান্য পানির একটু ওপরে সুতার সঙ্গে লাল-সবুজ বাতি বেঁধে জাতীয় পতাকা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯২ হাজার ৩৪০টি মরিচ বাতি। পতাকাটির দৈর্ঘ্য ১৬০ ফুট ও প্রস্থ ৯৬ ফুট।

দর্শনার্থী রাজিব মিয়াসহ কয়েকজন জানান, মরিচ বাতি দিয়ে বানানো এত বড় জাতীয় পতাকা এর আগে তারা কখনো দেখেননি। পুকুরের তলদেশে ফুটে ওঠা লাল-সবুজের পতাকাটি সবার নজর কেড়েছে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, জাতীয় পতাকা আমাদের অহংকারের প্রতীক। আমরা চিন্তা করলাম মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করতে ব্যতিক্রম কিছু করার। আমাদের মুজিব চত্বরের পাশেই একটি মজা পুকুর ছিল। পুকুরটি খনন করে পাড় ঠিক করা হয়। পরে তলদেশে মরিচ বাতি দিয়ে পতাকা করার পরিকল্পনা করা হয়। পুকুর পাড়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা ১০০ ফুট লম্বা একটি নৌকা বানিয়েছি। যেখানে একপাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি রয়েছে।

এ ছাড়া আরেকটি কাজ করেছি, সেটি হলো সবাই যেন বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে শুরু করে সেজন্য পুকুরের এক পাশে লেখা হয়েছে ‘আই লাভ বঙ্গবন্ধু।’ তার উল্টো পাড়েই প্রধানমন্ত্রীকে রিপ্রেজেন্ট করেছি যে তিনি ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’।

বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, এটি ইনস্টলেশন আর্টের মর্যাদা পেয়েছে। এটি বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করছে।

 

Comment here