পর্যটন নগরীতে পর্যটকরা কতটা নিরাপদ: দিন দিন বেড়েই চলেছে নারী ছিনতাইকারী উপদ্রব - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
চট্টগ্রামসমগ্র বাংলা

পর্যটন নগরীতে পর্যটকরা কতটা নিরাপদ: দিন দিন বেড়েই চলেছে নারী ছিনতাইকারী উপদ্রব

সোনিয়া ইসলাম: কক্সসবাজার নামটা শুনলেই যেন মনের ভেতর জেগে ওঠে অজানা এক প্রশান্তি। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত পর্যটন নগরী খ্যাত একটি জেলা শহর। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। কক্সবাজারে রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম ১২০ কিঃ মিঃ পর্যন্ত টানা সমুদ্র সৈকত।

বর্তমানে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেসব বিভিন্ন জেলা শহর গুলোতে অপকর্মের নতুন এক রাজত্ব ভিন্ন ও অভিনব পন্থা অবলম্বনে গড়ে উঠেছে তার তালিকা থেকে যেন বাদ পড়েনি “সৌন্দর্যের নগরী” কক্সবাজার শহরটি। আর এ অভিনব পন্থায় ছিনতাই ,পকেটমার ,রাহাজানি যেন আজকাল যে কোন শহরের নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার এ পরিণত হয়ে উঠেছে । নতুন করে গড়ে ওঠা এই অসাধু চক্র হচ্ছে মহিলা পকেটমার বা ছিনতাইকারী। কক্সবাজার শহরে দিন দিন বেড়েই চলেছে মহিলা পকেটমারের সংখ্যা। তবে সাধারনত এরা চুরির সময় আর দশটা নারীর ন্যায়ই মুখে নেকাব, মাথায় ওড়না ও গায়ে কালো রঙের বোরকা পরিহিত থাকে । সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যাওয়ার দরুন এদের সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর এভাবেই সাধারণ মানুষের সাথে মিশে থেকে এদের সুপরিকল্পিত অপরাধ কর্ম সংগঠিত ও বাস্তবায়িত করে থাকে এসব প্রতারক চক্রের নারীরা। আর হাতিয়ে নেয় মানুষের প্রয়োজনীয় মোবাইল, মানিব্যাগ, টাকাসহ মূল্যবান সব জিনিসপত্র। শুধু তাই নয়,ক্রেতা সেজে শহরের বিভিন্ন বিপণি বিতান বা দোকান থেকে ও এসব প্রতারক নারীর বিরুদ্ধে মালামাল চুরির অভিযোগ পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর বক্তব্য অনুযায়ী জানা যায়, সমাজের কিছু উচ্ছিষ্ট নারী দ্বারা এসব অপকর্ম সংঘটিত হচ্ছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য মতে আরো জানা যায়,কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে এসব নারীরা ছদ্মবেশে অবস্থান করে এদের অসাধু কার্যক্রম কে পরিচালিত করে থাকে। চিহ্নিত এলাকা গুলো হচ্ছে লাল দিঘিরপার -পেট্রোল পাম্প -পান বাজার রোড , হাসপাতাল -কোর্ট বিল্ডিং রোড ও কৃষি অফিস সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে এদের ঘোরাঘুরি বেশ লক্ষনীয় । তাই এলাকাবাসীর অনুরোধ, পর্যটক ও সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা স্বার্থে আরো গুরুত্বের সাথে প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষ যদি শহরের প্রধান প্রধান ভিউ পয়েন্ট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলিতে আরো বেশি তদারকি, কড়া নজরদারি ও কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবে সাধারণ জনগণ ও পর্যটক অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা ।

উল্লেখ্য, ঢাকার বিভিন্ন স্থান সহ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই ( ০২) জন, গাজীপুরে(০৮) জন, ডেমরায় এক ( ০১) জন, সিলেটের হবিগঞ্জে ছয় (০৬)জন ও শ্রীমঙ্গলে ১২জন , চাঁদপুরের কচুয়া থানায় দুই (০২) জন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে তিন (০৩) জন, মেহেরপুরে এক (০১) জন, সিদ্ধিরগঞ্জে পাঁচ (০৫) জন, নাটোরে পাঁচ (০৫) জান, রংপুরে তিন(০৩) জন ও ও কুমিল্লার হোমনা থানায় চার(০৪) জন এসব নারী ছিনতাইকারী কে প্রশাসনের প্রচেষ্টা ও সদিচ্ছায় আটক করা সম্ভব হয়েছিল। আর এরা সবাই পেশাদার মহিলা ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য । তবে শুধু এসব নারীরা একাই এসব প্রতারণা চক্রের সাথে জড়িত তা নয়, এদের সাথে পুরুষ সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরাও জড়িত আছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। এ যেন সারা বাংলাদেশে মহিলা ছিনতাইকারীর এক রাজত্ব।আর এভাবেই যেন দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে শুরু করে আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে এসব মহিলা ছিনতাইকারীদের দল।

Comment here