ফুলছড়িতে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী শিশু - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

ফুলছড়িতে ধর্ষণের শিকার প্রতিবন্ধী শিশু

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) ও বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ১০ বছরের এক অন্ধ শিশুকে ফুলছড়ি উপজেলার নির্জন বালুচরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় জেলা শহরের পুরাতন বাজার এলাকা থেকে সবুজ মিয়া নামে এক কসমেটিকস ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি জেলা শহরের সবুজপাড়া (সান্দারপট্টি) এলাকায়। এর আগে সবুজসহ দুজনের নামে ফুলছড়ি থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা।

এদিকে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন এক গৃহশিক্ষক। ফুলছড়িত ধর্ষণের শিকার শিশুর বাবার অভিযোগ, গত সোমবার বিকালে মেয়েকে তিনি ফুপু শাশুড়ি নূরজাহান বেগমের কাছে দেন। নূরজাহান তাকে ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের কেতকিরহাটে সবুজ নামে এক যুবকের হাতে তুলে দেন। সবুজ মেয়েটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালান। রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে গাইবান্ধা সদর মধ্য ধানঘড়ায়

তার বাড়ির পাশে রেখে যান সবুজ ও নূরজাহান। দিনমজুর বাবা-মা মঙ্গলবার মেয়েকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন সে। শিশু ও তার পরিবারের অসহায়ত্ব দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্য রোগীরা। চিকিৎসকরা জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটির পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে।

ফুলছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মমিরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিকে বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে।

ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওছার আলী জানান, শিশুটির বাবা মঙ্গলবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ফুলছড়ি থানায় মামলা করেন। রাতে সদর থানা পুলিশের সহায়তায় ফুলছড়ি থানা পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত সবুজকে গ্রেপ্তার করে।

হবিগঞ্জ : বানিয়াচং উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার গৃহশিক্ষক ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দিনগত রাত দেড়টায় বানিয়াচংয়ের বিথঙ্গল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করেন। তারা হলেন উপজেলার শ্রীমঙ্গলকান্দি গ্রামের প্রয়াত আবদুল আজিদের ছেলে সোহেল মিয়া ও একই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আইয়ুব আলী। সোহেল বৃন্দাবন সরকারি কলেজে বিএ অধ্যয়নরত। তিনি সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বাড়িতে গিয়ে পড়াতেন।

অভিযোগের বরাত দিয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার রাতে সোহেল মেয়েটির মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে বলেন। এর পর বাড়ির সামনের একটি জায়গায় গেলে প্রথমে তিনি তাকে ধর্ষণ করেন। পরে আইয়ুব আলী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তখন মেয়েটি চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যান।

বিথঙ্গল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে রাত দেড়টায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Comment here