নিজস্ব প্রতিবেদক : ছয় সদস্যের পরিবারে বাবা-মাসহ পাঁচজনই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত; কেবল তিন বছরের ছোট মেয়েটি ছাড়া। তাই তার আশ্রয় হয়েছে এক মামার কাছে।
প্রথমে শিশুটির বাবা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলি থানার সাগরিকা এলাকার ওই পরিবারের বাকিদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মঙ্গলবার রাতে আরও চার সদস্যের ফল পজিটিভ আসে।
এরপর শিশুটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। এমন পরিস্থিতিতে পাহাড়তলি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাইনুর রহমান উদ্যোগী হয়ে শিশুটিকে তার এক মামার কাছে রাখার ব্যবস্থা করেন।
জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল ওই পরিবারের কর্তা নগরীর উত্তর কাট্টলী এলাকার একটি গার্মেন্টেসের কর্মকর্তার শরীরে করোনভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। মঙ্গলবার জানা গেল, তিন বছরের ছোট মেয়েটি ছাড়া বাকি সবাই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
এরপর ওই পরিবারের সদস্যদের চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু ছোট মেয়েটিকে কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা।
পাহাড়তলী থানার ওসি মাইনুর রহমান বলেন, ‘যখন এই বিষয়টি জানতে পারি তখনই চিন্তায় পড়ে গেলাম। জেনারেল হাসপাতালেও যোগাযোগ করি। সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলি। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি জানান তাদের আত্মীয় স্বজনরা কেউ শিশুটিকে রাখতে রাজি হচ্ছে না। এরপর আমি যোগাযোগ শুরু করি। কেউ রাজি হচ্ছিল না। শেষে খোঁজাখুঁজি করে এক মামাকে পাই অনেক রাতে। তাকে বুঝিয়ে মেয়েটিকে রাখতে রাজি করাই।’
এরপর মঙ্গলবার রাত প্রায় দেড়টার দিকে ওই পরিবারের বাকি চার সদস্যকে জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
তবে শিশুটি তার মামার হেফাজতে কোন এলাকায় আছে তা জানাননি ওসি মাইনুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শিশুটির অবস্থান জানাজানি হলে ওই এলাকার লোকজন হয়ত আপত্তি জানাতে পারে। শিশুটির ভালো থাকাটাই জরুরি। আমরা নিয়মিত খোঁজ রাখব।’
Comment here