বিভক্তির রাজনীতি আমরা চাই না: মির্জা ফখরুল - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজনীতি

বিভক্তির রাজনীতি আমরা চাই না: মির্জা ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে যে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, এটা কোনো দলের নয়, জাতির সংকট। আজকে দেশকে বিভক্ত করা হয়েছে। এই বিভক্তির রাজনীতি আমরা চাই না। আমরা ঐক্যের রাজিনীতি চাই। আমরা মনে করি বাংলাদেশের মুক্তি সেখানেই সম্ভব, যেখানে মানুষের মুক্তি সম্ভব হয়, গণতন্ত্রের মুক্তির সম্ভব হয়।’

আজ শনিবার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সর্বজনীন দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ে মানুষদের প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান মির্জা ফখরুল।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এখানে অনেকেই বলেছেন, নির্বাচন আসলেই ভোটের সময় গোলযোগ সৃষ্টি হয়। ৫২ বছর পরে কেন হবে? কেন আমাদের ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলতে হবে? আমরা একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। কিন্তু শাসকগোষ্ঠি সেটাকে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করছে। আবার অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যেখানে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করা হয়, এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িতায় বিশ্বাস করে না।’

১৯৭১ সালে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলমান সবাই এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, প্রাণ দিয়েছে এবং দেশ স্বাধীন করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, আশা দেখিছিলাম—সেই স্বপ্ন ধুলায় মিশে গেছে। আজকে মানুষের সমস্ত অধিকারহরণ করা হয়েছে। এমনকি মানুষের ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে।’

বিএনপি শুধু অসম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে না, অন্য ধর্মের অধিকারও রক্ষা করে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘এই দেশে যারা বসবাস করে সবাই বাংলাদেশি। সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার এবং রাষ্ট্রও সবার।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ পর্যন্ত যতগুলো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে, তার সাথে শাসকগোষ্ঠির লোকজন জড়িত। এ কথা আমার না রানা দাস গুপ্তের। তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, সরকার চাইলে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা হবে, না চাইলে হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সবার দায়িত্ব এই দেশে যেন ধর্মকে নিয়ে কোনো সংঘাত না হয়, সাম্প্রদায়িকতার সৃষ্টি না হয়। আমরা বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র যদি থাকে তাহলে সেখানে সবার অধিকার রক্ষা করা সম্ভব হয়। এ জন্য আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছি।’

এর আগে, ঢাকেশ্বরী পূজা মণ্ডপে পৌঁছালে মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র কুমার রায়, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র নাথ পোদ্দারসহ নেতারা বিএনপি মহাসচিবকে স্বাগত জানান।

মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় নেতা রমেশ দত্ত, মোশাররফ হোসেন খোকন, যুবদলের কামাল আনোয়ার আহমেদ, মিডিয়া সেলের শায়রুল কবির খান, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের তরুণ দেন, দেবাশীষ পাল, মিল্টন বৌদ্ধ, জয়দেব জয়, সুরঞ্জন ঘোষ প্রমুখ।পরে রাতে বিএনপি মহাসচিব বনানী মাঠে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন এবং পূণ্যার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বনানী পূজামণ্ডপে পৌঁছালে সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির নেতরা তাকে স্বাগত জানান।

Comment here