মান অভিমান মেটাতে বৈঠক পুলিশ-কাস্টমসের - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
জাতীয়

মান অভিমান মেটাতে বৈঠক পুলিশ-কাস্টমসের

বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাজ হলো বিদেশগামী ও ফেরত আসা যাত্রীদের পাসপোর্ট যাচাই করে ইমেগ্রেশন সিল মারা। আর কাস্টমস কর্মকর্তারা তদারকি করেন পণ্যের শুল্ক আদায় ও চোরাচালানের বিষয়টি। নিয়ম অনুযায়ী চার-রঙা পাসধারী এ দুই সংস্থা অন্যসব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে শুরু করে যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

কিন্তু এক মাস ধরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মান-অভিমান চলছে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে রহস্যময় কারণে। এর ফলে পরিস্থিতি এতটাই নাজুক হয়ে পড়েছে যে, সমন্বয় দূরে থাক, এক সংস্থার সদস্যরা তাদের নিজস্ব বলয়ে অন্য সংস্থার সদস্যদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। রীতিমতো পাহারা বসিয়ে তারা এ কাজ করছেন।

বিমানবন্দরের এভিয়েশন সিকিউরিটি ফোর্সের (এভসেক) পরিচালক উইং কমান্ডার নূরে-আলম সিদ্দিক আমাদের সময়কে বলেন, শুনেছি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমসের মধ্যে একটু ঝামেলা চলছে। কিন্তু কী নিয়ে তা জানা নেই। এ দুই সংস্থার রেষারেষিতে বিপাকে পড়েছে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি। তাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে একাধিকবার চেষ্টা করেছেন বিমানবন্দরের অন্যান্য সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

এ অবস্থায় ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে আগামী সপ্তাহে বৈঠক করবে সিভিল এভিয়েশন অথরিটি। একাধিক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ঢাকা কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার অথেলো চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী পাসধারী সব কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিমানবন্দরের সব পয়েন্টে অবস্থান করার কথা। চোরাচালান ও পণ্যের শুল্ক আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করাও আমাদের কর্মপরিধির মধ্যে পড়ে।

কিন্তু এক মাস ধরে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন এলাকায় কাস্টমসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢুকতে দিচ্ছে না ইমিগ্রেশন পুলিশ। কী কারণে এ আচরণ করা হচ্ছে, তা-ও বলা হচ্ছে না। নিরাপত্তাজনিত কারণে নাকি আমাদের ইমিগ্রেশন পয়েন্টে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, এমন উড়োখবর শুনছি। ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে বলেন, কাস্টমস কর্মকর্তারা কী বলছেন তা আমাদের কাছে বিবেচ্য নয়। আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেন আসেন না, তা তারাই ভালো বলতে পারবেন।

Comment here