পৌষের মধ্যভাগেও নেই শীতের প্রকোপ। তবে আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই তাপমাত্রার পারদ নামতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর ক্রমেই বিভিন্ন জায়গায় জেঁকে বসতে পারে শীত।
এবারের শীতে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে একদফা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ছাড়া এখনো পুরোপুরি কনকনে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়নি। উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ থাকলেও রাজধানীসহ দেশের বড় অংশে এখনো হাড় কাঁপানো শীতের দেখা মেলেনি।
তবে শীতের তীব্রতা না থাকলেও গ্রামে এখন সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশার দেখা মিলছে। এই কুয়াশা আজ থেকে বাড়তে থাকবে। বাংলাদেশের রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে ঘনকুয়াশার দেখা মিলতে পারে। আমেরিকান গ্লোবাল ফরকাস্ট সিস্টেম চিত্রে অবলোকন করা যাচ্ছে-ভারত থেকে ঘনকুয়াশা অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশের দিকেই।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘আজ শনি ও আগামীকাল রবিবার দেশের উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। পরবর্তী পাঁচ দিনে রাত ও দিনের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। আজ মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘনকুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, জানুয়ারির শুরুতে তাপমাত্রা কমতে শুরু করতে পারে। দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় গত কিছুদিন ধরেই ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে। এই অবস্থা কেটে গিয়ে জানুয়ারির শুরুতে তাপমাত্রা কমে দেশে শীতের তীব্রতা বাড়বে। দেশের কোনো কোনো অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ।
Comment here