নিজস্ব প্রতিবেদক : খন্দকার মনির হোসেন ও মিনোয়ারা বেগম বিয়ে করেন ২০১৩ সালে। বিয়ের পর থেকেই স্বামীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন স্ত্রী। ২০১৭ সালে মিনোয়ারা বাবার বাড়ি গিয়ে আরেক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। কয়েকদিন সংসার করার পর ফের প্রথম স্বামীর ঘরে ফিরে ১০ লাখ টাকা ও একটি বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার দাবি করেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। মনিরকে পিটিয়ে আহতও করেন মিনোয়ারা। শেষ পর্যন্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে নির্যাতন ও প্রতারণার মামলা করেন স্বামী। আসামি মিনোয়ারা বেগমকে (২৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ঘটনাটি চাঁদপুরের। গত সোমবার দুপুরে জেলার শাহরাস্তি আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান জামান এই নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার বাদী খন্দকার মনির হোসেন চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার মেহের উত্তর ইউনিয়নের বানিয়াচোঁ গ্রামের মৃত খন্দকার আবু তাহেরের ছেলে। তার স্ত্রী মিনোয়ারা বেগম কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার শাকপুর গ্রামের ইমান হোসেনের মেয়ে।
মনিরের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মহসীন মিয়া জানান, মনির ও মিনোয়ারা ২০১৩ সালে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্বামীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতেন মিনোয়ারা। এর মধ্যে ২০১৭ সালে তিনি বাবার বাড়ি গিয়ে গোপনে অন্য একটি ছেলেকে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। কিছুদিন পরে দ্বিতীয় বিয়ের কথা গোপন করে ফের মনিরের সংসারে আসেন মিনোয়ারা। একপর্যায়ে স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন এবং তাকে বরুড়ায় একটি বাড়ি করে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন তিনি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে বাদানুবাদ হলে মনিরকে পিটিয়ে আহত করেন মিনোয়ারা বেগম।
এসব ঘটনায় প্রতিবাদ জানান খন্দকার মনির হোসেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিজের স্ত্রী মিনোয়ারা বেগমকে বিবাদী করে চাঁদপুর আদালতে নির্যাতন ও প্রতারণার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন মনির।
অ্যাড. মো. মহসীন মিয়া আরও জানান, মামলার বিষয়াদি আমলে নিয়ে শাহরাস্তি থানা-পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া বিবাদী মিনোয়ারা বেগমের বিয়ে, তালাক, তথ্য গোপন করে আবার বিয়ে ইত্যাদির কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন। সোমবার আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Comment here