১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে ৩ মাস সময় পেল বিএফআইইউ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে ৩ মাস সময় পেল বিএফআইইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণের জন্য ১০টি দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে বিএফআইইউকে তিন মাসের সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে বিএফআইইউর পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও অন্যান্য সহায়তা গ্রহণের জন্য অন্তত ১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

দেশগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড ও হংকং। গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে বিএফআইইউ কর্তৃপক্ষ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

অর্থ ফেরত আনার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা সম্পর্কিত মামলায় তথ্যপ্রমাণ বিদেশি রাষ্ট্র থেকে যথাসময়ে পাওয়া যায়নি। সে জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্সের ষষ্ঠ সভা গত ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে বিএফআইইউ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়কে সভা আয়োজনের অনুরোধ করে। পরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কোনো কোনো দেশের সঙ্গে এ পর্যায়ে এমএলএ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে এবং এর যৌক্তিকতা জানানোর জন্য বিএফআইইউকে অনুরোধ জানায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাচার অর্থ ফেরত আনতে ভারতের হাইকোর্টের পরামর্শ মোতাবেক দেশটির সুপ্রিম কোর্টের ‘রামজিৎ মালানি বনাম ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড আদার্স’ শীর্ষক মামলার রায় পর্যালোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের অনুরূপ ব্যবস্থা বাংলাদেশেও গ্রহণ করা যায় কিনা, তা পর্যালোচনার সুপারিশ প্রস্তুতকৃত কৌশলপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

গত ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ডের বক্তব্যের সূত্র ধরে গত ১১ আগস্ট বিষয়টি নজরে নিয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমাকারীদের তথ্য কেন জানতে চাওয়া হয়নি তা জানাতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় আদালতে দুদক এবং বিএফআইউর পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ হলফনামা আকারে তথ্য দাখিল করে। ওই হলফনামায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় বিএফআইউপ্রধানকে তলব করা হয়।

সেই তলবে ৩১ আগস্ট হাজির হয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় বিএফআইউপ্রধান মাসুদ বিশ্বাস ক্ষমা চান। পরে আদালত তাকে সতর্ক করে দেন। একই সঙ্গে অর্থ ফেরাতে এফআইইউ টু এফআইইউ চুক্তি হওয়া উচিত বলে অভিমত দিয়ে আদালত বলেন, ভারত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করে ৭৮৪ জনের টাকা ফেরত এনেছে। ভারত পারলে আমরা কেন পারব না? কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন আমাদের জানান।

এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৬ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। এ আদেশ অনুসারে গতকাল বিএফআইউ প্রতিবেদন দাখিল করে।

 

Comment here