৩ দিন ধরে হাসপাতালের আইসোলেশনে, চিঠি দিলেও স্যাম্পল নিচ্ছে না আইইডিসিআর - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

৩ দিন ধরে হাসপাতালের আইসোলেশনে, চিঠি দিলেও স্যাম্পল নিচ্ছে না আইইডিসিআর

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে এক যুবক তিন দিন ধরে ভর্তি আছেন। অভিযোগ উঠেছে তার স্যাম্পল নেওয়া হচ্ছে না।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন হতদরিদ্র মেহেদী হাসান নামে ওই যুবক।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘সর্দি-ঠান্ডা, হাঁচি-কাশি, জ্বর, গলা ব্যথ্যা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন মেহেদী। ভর্তি হওয়ার পর তার স্যাম্পল নেওয়ার জন্য ঢাকার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) দুই দফা চিঠি লেখা হয়েছে। কিন্তু তিন দিন হলেও তার স্যাম্পল নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে আমরা টেনশনে আছি, দুশ্চিন্তার মধ্যে আছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি এ হাসপাতালে ১০ বেডের একটি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। এ ইউনিটে একমাত্র রোগী হলেন মেহেদী হাসান। তার প্রয়োজনীয় পরিচর্যা ও ওষুধ সরবরাহ করা হলেও স্যাম্পল সংগৃহের এখতিয়ার এ হাসপাতালের কারও নেই। এ স্যাম্পল নেবে একমাত্র আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ।’

গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান, এ যাবত গাজীপুরে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৪৭ জন, আইসোলেশনে আছেন একজন। আর হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা এক হাজার ৪৯৬ জনের মধ্য থেকে ৫৫৮ জনকে রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে।

চিকিৎসকদের যানবাহন সংকট

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. খলিলুর রহমান জানান, চিকিৎসকদের আবাসিক ব্যবস্থা না থাকায় তাদের অন্যত্র থাকতে হচ্ছে। হাসপাতালে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। তার মধ্যে একটি করোনাভাইরাসের রোগীদের স্যাম্পল নেওয়ার জন্য স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়, একটি সাধারণ রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।

খলিলুর রহমান আরও জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সারা দেশে লকডাউনের কারণে চিকিৎসকদের আনা-নেওয়ার জন্য অপর অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের যথাসময়ে হাসপাতালে আনা সম্ভব হয় না। তাই তিনি এ সংকট সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ জানান।

Comment here