নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্পর্কে দাদা হন তিনি। বয়স ৫৫ বছর। তারপরও তার প্রেমেই পাগল হলো ১৩ বছরের এক কিশোরী। এখানেই শেষ নয়, দাদাকে বিয়ে করতে শেষ পর্যন্ত গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ওই স্কুলছাত্রী।
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের পঞ্চাশি গ্রামে ঘটেছে এমন ঘটনা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পঞ্চাশি গ্রামের শিহাব উদ্দিনের সঙ্গে স্কুলপড়ুয়া নাতনির সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। শিহাব সম্পর্কে ছাত্রীর বাবার চাচা। এ বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে উভয় পরিবারে কলহ তৈরি হয়।
সূত্র আরও জানায়, স্কুলছাত্রী তার দাদাকে বিয়ে করতে চাইলে উভয় পরিবারের কেউ রাজি ছিলেন না। এতে অভিমানে স্কুলছাত্রী সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিজ ঘরে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
বিষয়টি টের পেয়ে কিশোরীর মা প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় কিশোরীকে উদ্ধার করে। পরে স্থানীয় চিকিৎসক সানোয়ার হোসেন তাকে সুস্থ করে তোলেন।
এদিকে, অসম প্রেমের এ কাহিনী নিয়ে গ্রামে নানামুখী আলোচনা তৈরি হয়েছে। এ কারণে গতকাল মঙ্গলবার ওই স্কুলছাত্রীকে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।
Comment here