কুয়াকাটার ৭০ শতাংশ হোটেল-মোটেল কক্ষ অগ্রিম বুকিং - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

কুয়াকাটার ৭০ শতাংশ হোটেল-মোটেল কক্ষ অগ্রিম বুকিং

কুয়াকাটা প্রতিনিধি : আর ১ দিন বাদেই মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এবারের ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে লাখ পর্যটকদের আগমন ঘটবে বলে মনে করছে হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ । এরই মধ্যে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট, কটেজের ৭০ শতাংশ কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

করোনা মহামারির কারণে গত দুই ঈদে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের দেখা মেলেনি। ফলে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছিল পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা।

তবে এ বছর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ঈদের আগে অবশিষ্ট কক্ষগুলোও ভাড়া হয়ে যাবে বলে মনে করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। পুরো রমজান জুড়ে হোটেল ভেদে ৫০/৬০ শতাংশ ছাড় ছিল কিন্তু ঈদ মৌসুমে কোন ছাড় ছাড়াই অধিকাংশ হোটেল-মোটেল রিজার্ভ হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের ধারনা, ঈদের দিন থেকেই পুরো এক সপ্তাহ পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে সৈকত। ব্যস্ততায় দিন কাটবে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের।

পর্যটকদের বরণ করতে ইতিমধ্যে হোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে সাজসজ্জা ও সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। হোটেল ও মোটেলগুলো নানা রঙ্গে রঙ্গিন করে তুলছে হোটেল মালিকেরা। বিনোদনকেন্দ্র পেয়েছে নতুন রুপ।

পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা জানান, পর্যটক না থাকায় রমজান মাসে সৈকত এলাকার দোকানপাট, ঘোড়া, বিচবাইক, চেয়ার-ছাতা, চা-কফি বিক্রির ভ্রাম্যমাণ দোকান, ভাজা মাছ বিক্রির দোকানপাট অলস সময় পার করছিল। অনেকটাই বেকার ছিলো আলোকচিত্রীরা। ঈদের পরদিন থেকে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা-বাণিজ্য চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তখন জমজমাট হবে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে লেম্বুরবন পর্যন্ত। রাখাইন পল্লি, মিস্রিপাড়াসহ দর্শনীয় ও বিনোদনের কেন্দ্রগুলো।

সিকদার রিসোর্ট এন্ড ভিলাসের অপারেশন ম্যানেজার আল আমিন উজ্জ্বল বলেন, পুরো রমজানে হোটেলে তেমন কোন গেস্ট ছিলনা। ঈদের দিন থেকেই গেস্ট আসা শুরু করবে। তাদের বরণে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

হোটেল গোল্ডেন ইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম জহির বলেন, আমরা পর্যটকদের সেবা দিতে সম্পুর্ণরূপে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কিছু কক্ষ রিজার্ভেশন বাকি আছে আশা করছি তাও শেষ হয়ে যাবে।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, করোনার কারণে আমরা শত কোটি টাকা লোকসান দিয়েছি। গত দুই ঈদে পর্যটকদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। এবার ঈদের ভাল ব্যবসার মাধ্যমে সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করব। আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। রুম ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। কেউ বেশি ভাড়া ডিমান্ড করলে আমরা দ্রুত ট্যুরিস্ট পুলিশের সাথে সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহন করব।

পর্যটকদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের এস আই হাসনাইন পারভেজ বলেন, ভ্রমণে আসা পর্যটকের নিরাপত্তায় আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে পূর্বে গঙ্গামতি পশ্চিমে লেম্বুরবন পর্যন্ত আমরা প্রতিটি পর্যটকদেরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখব।

 

Comment here