জনকল্যাণের বাজেট - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
জাতীয়

জনকল্যাণের বাজেট

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে ‘জনকল্যাণের বাজেট’ বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সব উদ্যোগ-কার্যক্রমই জনগণের কল্যাণের জন্য। এই বাজেট জনকল্যাণমূলক। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বাজেটপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ থাকায় প্রধানমন্ত্রী নিজেই সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রথমে প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক এবং সরকারের পরিকল্পনার কথা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বাজেট নিয়ে সমালোচনার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা সমালোচনা করার তারা করে যাক, ভালো কথা বললে আমরা গ্রহণ করব, মন্দ কথা বললে আমরা ধর্তব্যে নেব না। পরিষ্কার কথা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ বাড়ানো এবং দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে তিন কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। এ ছাড়া আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যে প্রবৃদ্ধি ডাবল ডিজিটে উন্নীতের পরিকল্পনা রয়েছে। কালো টাকাকে সাদা করে মূলধারায় আনার সুযোগও দেওয়া হয়েছে; যাতে দেশ থেকে টাকা পাচার না হয়ে বিনিয়োগ হয়।

তিনি বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনা এবং ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সর্বোপরি দেশকে সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সমৃদ্ধ এবং কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্যোগ রয়েছে। সেই লক্ষ্যে আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এখন বাইরে গেলে আগে যারা মনে করত আমরা ভিক্ষুকের জাত হিসেবে যাচ্ছি, এখন আর কেউ তা মনে করে না। এটাই হচ্ছে আমাদের সব থেকে বড় অর্জন। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় লিঙ্গবৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সবার ওপরে রয়েছে।

বাজেটপরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পাশেই বসেছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ ছাড়া পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনায় ছিলেন অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার।

শেখ হাসিনা বলেন, অর্থ পাচার ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়Ñ সবাইকে মিলিয়েই কমিটি আছে। আন্তর্জাতিক কমিটিও আছে। সবাই মিলে ব্যবস্থা নেওয়ায় অর্থ পাচার যেখানেই হচ্ছে, ধরা পড়ছে। ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। দেশ থেকে যেন অর্থ পাচার হয়ে না যায়, সে কারণে অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শনের সুযোগও দেওয়া হচ্ছে। এটা আমরাই কেবল নই, এর আগের সব সরকারই এ সুযোগ দিয়েছে। আমরা মাঝে মাঝে সেই সুযোগ বন্ধও করেছি। তবে কালো টাকার স্তূপ যেন গড়ে না ওঠে, তাই এ টাকা প্রদর্শন করার সুযোগ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অপ্রদর্শিত টাকা যেন বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকে, তাই আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে দিয়েছি। চাইলে সেখানে বিনিয়োগ করার সুযোগ থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট হারে সুদ দিতে হবে। এ ধরনের বিনিয়োগ করলে তাকে আর প্রশ্ন করা হবে না। ভবিষ্যতে যেন এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন না করা হয়, সে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এ বছর করমুক্ত আয়সীমা ও করহার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় আমাদের করহার কম। বিদ্যমান হারে জনগণ কর প্রদানে অভ্যস্ত। আমাদের সর্ববৃহৎ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পে বিদ্যমান কর খুবই কম। গ্রিন ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ। টেক্সটাইল শিল্পে করহার ১৫ শতাংশ। উভয় শিল্পে প্রণোদনা দেওয়ার জন্য ২০১৯-২০ সালেও এ করহার অপরিবর্তিত থাকবে। প্রবৃদ্ধি ও ব্যবসায় সহায়তা, কৃষি শিল্প ও ভৌত অবকাঠামো খাতে প্রায় ৩৫টি আইটেমে কর অবকাশ সুবিধা আরও পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও নতুন কিছু উপখাত অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বাজেটের লক্ষ্য সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশে উন্নীত করা।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সমালোচনাকে ‘ভালো না লাগা পার্টির অসুস্থতা’ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ এ বাজেটে খুশি কিনা, তাদের উপকার হচ্ছে কিনাÑ সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আমাদের দেশে কিছু লোক থাকে, যাদের একটা মানসিক অসুস্থতা থাকে, তাদের কিছুই ভালো লাগে না। যখন দেশে একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থাকে, অর্থনৈতিক উন্নতি হয়, সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়, তখন তারা কোনো কিছুই ভালো দেখে না। সব কিছুতেই কিন্তু খোঁজে। এটা অনেকটা অসুস্থতার মতো।

আওয়ামী লীগ সরকার এবার নিয়ে টানা ১১ বারের মতো বাজেট দিয়েছে-সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যা করছি, তার সুফলটা কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে। এ সময় তিনি একটি গল্পের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘একটা গল্প আছে না-পড়াশোনা করছে ছেলে, পাস করবে না; পাস করার পর বলল চাকরি পাবে না; চাকরি পাওয়ার পর বলল বেতন পাবে না; বেতন পাওয়ার পর বলল বেতনের টাকা চলবে না। তো উনাদের সেই অসুস্থতা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পুঁজিবাজারে সুশাসন দেখতে চাই। শক্তিশালী অর্থনীতির পাশাপাশি দেখতে চাই একটি বিকশিত পুঁজিবাজার। দীর্ঘমেয়াদের ঋণ সংগ্রহে ঋণগ্রহীতাদের উৎসাহ প্রদানে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য অনেক প্রণোদনা আছে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয় করমুক্ত থাকবে। বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর পরিহার করা হবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে বিশেষ প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। এ ছাড়া ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় প্রণোদনা স্কিমের আওতায় ৮৫৬ কোটি টাকা আবর্তনশীলের ভিত্তিতে পুনর্ব্যবহারের জন্য ছাড় করা হয়েছে। সরকারের আরও লক্ষ্য রয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে তিন কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। তবে কর্মসংস্থান মানে শুধু চাকরি নয়, যে কোনো একজন মানুষকে ট্রেনিং দিয়ে শিক্ষিত করে কাজ করার মাধ্যমে সে যদি কর্ম করে খাওয়ার সুযোগ পায়, সেটাই কর্মসংস্থান। সেখানেও বেকারত্বের অবসান ঘটে।

নিজের কর্ম নিজেকেই সৃষ্টি করার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি, সেই অর্থনৈতিক অঞ্চলে চাকরি ছাড়াও নানাভাবে মানুষের কর্মসংস্থান হবে। তখন দেশে ৩ কোটি বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন; ব্যাংক ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামানো এবং ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে পত্রিকা ও টিভি মালিকদের দুষলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, খবর নেবেন, পত্রিকার মালিকরা কে কোন ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছেন। সব ব্যাংক থেকে এ তথ্য বের করেন। যত মিডিয়া আছে, প্রত্যেকে বলবেন, কোন মালিক কোন ব্যাংকের কত টাকা ঋণ নিয়ে কত টাকা শোধ দেননি। খেলাপি হয়ে নিজেরা হিসাব করলে আমাকে আর প্রশ্ন করতে হবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এখানে সুদের হার অনেক বেশি। ব্যাংকগুলোয় চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ হয়। আবার খেলাপি ঋণের হিসাব যখন দেওয়া হয়, চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ যোগ হয়ে যে ঋণের পরিমাণটা দাঁড়ায়, সেই হিসাব প্রকাশ করা হয়। ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি দেখায়। প্রকৃত ঋণ অতটা নয়। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদেরও কিছু দুর্বলতা আছে। ধীরে ধীরে বিষয়গুলো অ্যাডজাস্ট করা হচ্ছে। খেলাপি হয়ে যাওয়া ঋণও শোধ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া চলছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। বর্তমানে দেশের ৯৩ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। উৎপাদন ক্ষমতা ২১ হাজার ১৬৯ মেগাওয়াট। শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাবে। গ্রামের উন্নয়নে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। গ্রাম হবে আধুনিক শহর। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন আরও গতি পাবে। দ্রুততম সময়ে ফাইভ-জির ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সাত বছর আগের প্রস্তাবিত ভ্যাট আইন শেষ পর্যন্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে এসে পাস হতে যাচ্ছে। ভ্যাট আইনটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন জিনিসপত্রের দাম না বাড়ে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। আবার কাক্সিক্ষত রাজস্ব আদায় নিশ্চিতে অনলাইন সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর ফলে আর ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট প্রস্তাবনা অনুযায়ী কিছু পণ্যের দাম বাড়বে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নয়, বিশেষ বিশেষ পণ্যের মূল্য বাড়ানো হয়েছে। তামাক ও তামাকজাত পণ্যে বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মূলত এসব পণ্যের ব্যবহার হ্রাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে গ্রামীণ মানুষের কথা বিবেচনা করে বিড়ির দামের ওপর শুল্কহার সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয়েছে।

বাজেটে উল্লেখ করা ‘সোনালি যুদ্ধ’ শব্দ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি ব্যবহার করা হয়েছে দেশকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিশালী করা ও মঙ্গলের জন্য। দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের ফলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আজ বৈচিত্র্য ও প্রাণচাঞ্চল্য এসেছে। নির্বাচনী ইশতেহারে বর্ণিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ ধারণার আলোকে পল্লী এলাকায় উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো স্থাপন, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সুযোগ তৈরি, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি এবং কম্পিউটার ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানসহ প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরের সুবিধাদি প্রদান করা হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও ইন্টারনেট সুবিধা তারা পাবে।

কৃষকরা ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না-এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধান উৎপাদনে প্রণোদনা দেওয়া হয় বলে কৃষকের খরচ কম। প্রায় সব খরচ সরকারই দেয়। কৃষকের দেখভাল আমরা করছি বলেই দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। এমপিওভুক্তির ব্যাপারে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি করা সম্ভব হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য পৃথকভাবে এবারের বাজেটে অর্থের সংস্থান রাখা হয়েছে।

চিনি আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বেশি চিনি খেলে ডায়াবেটিস হয়, সে জন্য এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজস্ব বাড়াতে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দেশে যত পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি হয়ে আসে, দেশ থেকে যত পণ্য রপ্তানি হয়ে বিদেশে যায়Ñ সেসব পণ্য স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের শহীদ সদস্য ও ১৫ আগস্টে অন্য শহীদদের স্মরণ করেন।

Comment here