ঝিনাইদহে একে একে সেচ্ছাই লকডাউন হচ্ছে গ্রামগুলো - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

ঝিনাইদহে একে একে সেচ্ছাই লকডাউন হচ্ছে গ্রামগুলো

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি সেলিম রেজাঃ করোনা ভাইরাস আতংকে একে একে সেচ্ছায় লকডাউন হচ্ছে ঝিনাইদহের গ্রামগুলো। গ্রামের তরুন ও উদ্যোগী যুবকরা নিজেদের প্রয়োজনেই গ্রামে চলাচলা সীমিত করার জন্য রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচলা বন্ধ করে দিচ্ছে।
এই কাজে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরাও সহযোগিতা করছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে প্রথম ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের আনন্দবাগ নামে একটি গ্রাম সেচ্ছায় লকডাউন করে গ্রামবাসি। এরপর থেকেই কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর, ধোপাবিলা গ্রাম লকডাউন হয়। মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহরপাড়া ও সদর উপজেলার বংকিরা গ্রাম তরুন যুব সমাজের উদ্যোগে লকডাউন করা হয়। উপশহরপাড়ায় প্রবেশ করা সব পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কারো ঘর থেকে বের হতে বারণ করা হচ্ছে। এ তথ্য জানান, উপশহরপাড়া লকডাউন সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর হোসেন ও আসাফ উদ দৌলা মাসুম। এদিকে বংকিরা গ্রামের প্রায় ৪০ জন সদস্যের উদ্যোগে বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
লকডাউন সমন্বয় কমিটির পশ্চিমপাড়ার সভাপতি মিঠুন জোয়ারদার ও সাধারণ সম্পাদক সাফওয়ান আব্দুল্লাহ অনেক জানান, প্রয়োজন নিশ্চিত করে গ্রাম থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে প্রবেশের সময় সমস্ত শরীরে জীবানুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই গ্রামে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। লকডাউন সমন্বয় কমিটি ও নৌবাহিনীর সদস্য অনুপ কুমার সেন জানান, গ্রামের ৪০/ থেকে ৫০ জন সেবচ্ছাসেবক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা গ্রামের মোড়ে মোড়ে দাড়িয়ে কাজ করছেন। বসানো হয়েছে টহল। পুরো গ্রামটিকে নজদারিতে রাখা হয়েছে। গ্রামের মোড়ের রাস্তায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবানুনাশক স্প্রে নিয়ে বসে থাকছে সদস্যরা।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৩টি গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছায় লকডাউন করেছে তাদের নিজ নিজ গ্রাম। গ্রামগুলো হলো উপজেলার ধলরাহচন্দ্র ইউনিয়নের কাশিনাথপুর, সুবিদ্দাহ ও ভেড়া ভাউটিয়া গ্রাম। জেলার আরো অনেক গ্রাম একে একে সেচ্ছায় লকডাউন করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। লকডাউন করা গ্রামগুলোতে বসবাসকারী হতদরিদ্র মানুষগুলো খাবার সংকটে পড়তে পারে বলে অনেকে আশংকা করছেন। সেচ্ছা লকডাউন হওয়া প্রসঙ্গে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, নিজে ও পরিবার বাঁচাতে এই উদ্যোগে খুবই ভাল একটা দিক। মানুষ যে সচেতন হচ্ছে এটাই তার বড় প্রমান।

Comment here