ইউসুফ সোহেল : রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা। গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানাধীন আজমতপুর এলাকায় রাস্তার পাশে গুরুতর আহত ও অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল ১১ বছরের এক ছেলে শিশু। পুলিশ বলছে, হত্যাচেষ্টার পর মৃত ভেবে ওই রাস্তায় শিশুটিকে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। পথচারীদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করান কালীগঞ্জ থানার এএসআই কামাল। বর্তমানে সে হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
তবে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরনি। দুদিন পেরিয়ে গেলেও কী তার পরিচয়, কারা তাকে হত্যাচেষ্টা করেছিল তা জানতে পারেনি পুলিশ।
এএসআই কামাল আমাদের সময়কে বলেন, গাজীপুরের আজমতপুর এলাকার একটি সড়কের পাশে শিশুটি পড়ে ছিল। তার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। চোখের কোনেও আঘাতের চিহ্ন। স্থানীয়রা শিশুটির বিষয়ে জানালে তাকে প্রথমে কালীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে উত্তরার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দুপুরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে সেখান থেকেও স্থান্তান্তর করা হয় ঢামেক হাসপাতালে। পায়জামা ও লাল-কালো গেঞ্জি পরিহিত শিশুটির জ্ঞান ফেরেনি মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত। ফলে তার পরিচয় জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, ঘটনাটি সড়ক দুর্ঘটনা না। এটি হলে তার শরীরে অন্য কোথাও ছিলে যাওয়া বা আঘাতের চিহ্ন থাকত। কিন্তু মাথা ও চোখের কোনে সুনির্দিষ্ট আঘাত ছাড়া আর কোথাও কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই ধারণা করা হচ্ছে, কেউ তার মাথায় আঘাত করে মৃত ভেবে ওই রাস্তার পাশে দেহটি ফেলে গেছে।
চিকিৎসকের বরাদ দিয়ে এএসআই কামাল জানান, মাথায় আঘাতের কারণে শিশুটির মস্তিষ্কে রক্ত জমা হয়েছে। তবে জ্ঞান ফিরতে সময় লাগবে। জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত তার সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তার চিকিৎসায় যা খরচ হচ্ছে তা কামাল নিজেই ব্যয় করছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
Comment here