প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের টেকসই উন্নয়ন করতে হবেঃ মেয়র লিটন - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
রাজশাহীসমগ্র বাংলা

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের টেকসই উন্নয়ন করতে হবেঃ মেয়র লিটন

সজিবুল ইসলাম হৃদয়, নিউজ ডেস্কঃ রাজশাহীতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিচিতি বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগরভবনের সিটি হল সভাকক্ষে উক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শাওগাতুল আলমের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

এছাড়া উক্তসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর অাওয়ামীলীগের সহ সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, এলআইইউপিসি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব আব্দুল মান্নান, এলআইইউপিসিপি প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প ব্যবস্থাপক একরামুল কবীর, রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র ও ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নিযাম উল আযীম, সচিব আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লাহ প্রমূখ। এছাড়া সভায় রাসিকের কাউন্সিলর, প্রকল্পের কর্মকর্তা, সিডিসির নেতৃবৃন্দসহ রাসিকের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন অনেকগুলো দিক দিয়ে ব্যতিক্রম। পরিচ্ছন্নতাসহ স্বাস্থ্য শিক্ষা ক্ষেত্রে এটি এগিয়ে থাকলেও অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রবাহে এটি খুব বেশি এগুতে পারেনি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাজশাহীতে সরকারীভাবে চারটি শিল্পকারখানা গড়ে তোলা হলেও আজ তা বন্ধের পর্যায়ে।

শহর কিংবা জেলা শহরে তেমন কোন শিল্পায়ন হয়নি। পূজি বিনিয়োগ করা হয়নি। বিসিক তাঁর কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনি। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা ছাড়া এখানে তেমন কোন বড় শিল্প গড়ে উঠেনি। ফলে বেকারত্ব এখনও এখানে প্রকট। এই জায়গা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে, সেই প্রচেষ্টায় চলছে। মেয়র আরো বলেন, নগরীতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম টেকসইভাবে করতে হবে।

সকলের সহযোগিতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমানের টেকসই উন্নয়ন করতে হবে। বিভিন্ন সিডিসির মাধ্যমে পরিচালিত প্রকল্পটি এখন ৪০ কোটি টাকার তহবিলে দাড়িয়েছে। আগামীতে এ প্রকল্পটি টেকসইভাবে বাস্তবায়নে কাউন্সিলরদের সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ন, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। আগামীতে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও যেন এর সুফল ভোগ করা যায় সেজন্য নিবিড়ভাবে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহীন আকতার রেনী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছে ও প্রচেষ্টায় এমডিজি বাস্তবায়ন হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন হয়েছে। শিশু মৃত্যুর হার কমেছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। এখন আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছি। এই অবস্থায় নারীদের আর অবহেলিত বলা যাবে না। নারীরা অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, বিরোধী দলীয় নেত্রীও নারী। নারীরা বিমান চালাচ্ছে, পুলিশ হচ্ছে, জেলা প্রশাসক হচ্ছে। নারীরা এখন আর শুধু ঘরের মধ্যে নেই। রাজশাহীতে নারীদের কার্যক্রম অন্যান্য শহরের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি আরো বলেন, এই দেশকে ভালোবাসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। প্রত্যেককে ভালো কাজ করতে হবে। আমরা প্রত্যেকে যদি ভালো কাজ করি, তাহলে উন্নত, বাসযোগ্য সমাজ, দেশ ও জাতি গড়ে তুলতে পারবো। উল্লেখ্য, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পটি মূলত পাঁচটি ক্ষেত্রে কাজ করছে। লিভলিহুডস ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পুর কমিউনিটিজ (এলআইইউপিসি) প্রজেক্টটি জুলাই গত ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এবং এর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশ সরকার, ডিএফআইডি এবং ইউএনডিপির অর্থায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার নেৃতত্বে কমিউনিটির মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে।

Comment here