লাশ হস্তান্তরে শর্তের অভিযোগ মিথ্যা: পুলিশ - দৈনিক মুক্ত আওয়াজ
My title
সারাদেশ

লাশ হস্তান্তরে শর্তের অভিযোগ মিথ্যা: পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : হাতিরঝিল থানা পুলিশের হেফাজতে আত্মহত্যা করা সুমন শেখের মরদেহ বুঝে নিচ্ছে না তার পরিবার। বরং তারা মরদেহ নিতে পুলিশি শর্তের যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আজ রোববার সন্ধ্যায় নিজ কার্যালয়ে সুমনের মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে সাংবাদিকদের ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের ডিসি এইচ এম আজিমুল হক বলেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর মরদেহ নিতে স্বজনদের বারবার ফোন দেওয়া হলেও তারা আসছে না। মরদেহ বর্তমানে মর্গের হিমাগারে রয়েছে। প্রকৃত অভিভাবক পেলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

সুমন আত্মহত্যা করেছেন এমন তথ্য থানা থেকে স্বজনদের না জানানোর অভিযোগের বিষয়ে ডিসি বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। কীভাবে ঝুলে সুমন আত্মহত্যা করেছেন সেই ফুটেজ মৃতের স্বজনসহ সাংবাদিকদের দেখানো হয়েছে। তাদের অভিযোগ মিথ্যা। এর পেছনে কারও ইন্ধন রয়েছে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।

 

 

ডিসি আজিমুল হক বলেন, অধিকাংশ সময়ই মৃতের স্বজনদের ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও প্রকৃত অভিভাবককে পাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে একটা রহস্য তৈরির চেষ্টা চলছে বলে মনে হচ্ছে। পুলিশ মরদেহ দিচ্ছে না বা মরদেহ নিতে শর্তের কথা বলা হচ্ছে এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য। এই ঘটনায় জিডি করা হয়েছে। প্রকৃত অভিভাবক পেলে আইনগতভাবেই মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। মরদেহ কোথায় দাফন করা হবে তা পরিবারের ইচ্ছা। এখানে পুলিশের কোনো বিষয় নেই।

এর আগে সুমনের শ্যালিকা শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘পুলিশ বলেছে লাশ আমাদের এলাকা রামপুরায় আনতে দেবে না। তারা বলছে লাশ সরাসারি গ্রামের বাড়িতে নিতে হবে। আমরা লাশ গ্রামের বাড়িতে নেব কেনো? ছোটবেলা থেকে বড় হইছি ঢাকায়। আমাদের এলাকায় লাশ আনতে দেবে না তারা। লাশ রামপুরায় নিলে কী সমস্যা সেটা বলেনি পুলিশ। পরে আমরা লাশ আনি নাই।’

এদিকে মৃত সুমনের শ্যালক সুজন শেখ বলেন, ‘আমরা আজ রোববার মামলা করতে আদালতে গিয়েছিলাম। তবে আদালতের সময় শেষ হওয়ায় মামলা করতে পারিনি। কাল সোমবার সুমনের স্ত্রী জান্নাত বেগম বাদী হয়ে মামলা করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ন্যায় বিচার চাই। সুমন শেখকে হত্যা করেছে পুলিশ। মামলা না করা পর্যন্ত আমরা মরদেহ নেব না।’

 

Comment here